পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা,ঘাটালের সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একপ্রকার সংযোস্থল ও মধ্যস্থল হল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকা।
স্থানীয়দের দাবি থানার দুরত্ব অনেকটা হওয়ার কারনে এখানে দীর্ঘদিন ধরে নানান অসামাজিক কাজ , ছিনতাই খুনের মতো ঘটনা দীর্ঘ বছর ধরে ঘটে চলেছে। এমনকি ওই এলাকায় ২০০৯ সালে দলীয় কার্যালয়ে আততায়ীদের গুলিতে খুন হতে হয়েছিল তৎকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান আলী শাকে । পাঁশকুড়া মূল থানা থেকে মাইশোরা এলাকার দূরত্ব অনেকটাই , হঠাৎ করে কোনো কারনে ঘটনা ঘটলে বা কেউ কেস করতে চাইলে অনেকটা পথ যেতে হয় মাইশোরা এলাকা থেকে। সে কথা মাথায় রেখেই ওই এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করার কথা ভাবেন পাঁশকুড়া থানার আই সি আশীষ মজুমদার।
সেই মতোই মাইশোরা এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার অমরনাথ কে। উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশেনাল এস পি এম এম হাসান,পাঁশকুড়া থানার আই সি আশীষ মজুমদার।
মাইশোরা এলাকায় নতুন পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। অনেক বেআইনি কাজকর্ম, অপরাধমূলক কাজ বন্ধ হবে। নতুন করে সেজে উঠবে মাইশোরা।
ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই,খুনের মতো বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হয়ে আসছে, এবার তা একপ্রকার বন্ধ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন। এমনকি তাঁর পাশাপাশি পাবলিক পুলিশ রিলেশন গড়ে উঠবে মাইশোরা এলাকায়। আগামী দিনে ওই ফাঁড়ি যাতে বড় পুলিশ থানা তৈরি হয় তা চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দেন পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপার অমরনাথ কে।
মাইশোরা এলাকায় বর্তমান যে পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করা হয়েছিল তা এতদিন অব্যবহৃত জায়গা হয়ে পড়েছিল, পাঁশকুড়া থানার আই সি আশীষ মজুমদারের উদ্যোগে এই ফাঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
তাঁর পাশাপাশি শিশু হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন হয় পাঁশকুড়া থানায়। যেখানে অপরাধী অপ্রাপ্তবয়স্ক, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে নতুন রুম, যেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তাঁদের অন্যান্য অপরাধীদের থেকে দূরে রাখা হবে।






