সন্দীপ শ্রীবাস্তব :- তোমরা অত পাপ- পাপ বলো কেন? একশোবার আমি পাপী আমি পাপী বললে তাই হয়ে যায়। বিজয়কে বলছেন ঠাকুর ; এমন বিশ্বাস করা চাই যে তাঁর নাম করছি, আমার আবার পাপ কি। তিনি আমাদের বাবা – মা তাঁকে বলো যে পাপ করেছি, আর কখনও করব না। আর তাঁর নাম করো, পবিত্র হয়ে যাবে, দেহমন পবিত্র হয়ে যাবে, পাপ – পাখি উড়ে পালাবে দেহবৃক্ষ থেকে।
মায়ের কাছে সন্তান কি পাপী? সন্তান – পীড়িত। সন্তান – দুঃখী। সন্তানের দুঃখ হরন করতে রোগহরন করতে মা কী না করবে? আর পাপ রোগ ছাড়া কি, ব্যাধি ছাড়া কি। মা -ই তো সমস্ত ব্যথার সমস্ত ব্যাধির বিশল্যকরনী।
ঈশ্বরই তো বন্ধু। তাঁকে বন্ধু করো। বন্ধু কি আসবে না বন্ধুর সাহায্যে? আর এ তো তোমার প্রবল বন্ধু, পরাক্রম বন্ধু। ক্ষমায় সুন্দর, ঔদার্যে বিশাল, স্নেহে বিপুলদক্ষিণ। সর্বসময় অব্যবহিত। তোমার সুখে সুখী দুঃখে দুঃখী তৃপ্তিতে পরিতৃপ্ত। তোমাকে দাঁড় করিয়ে দেবার জন্যে সর্বদা হাত বাড়িয়ে আছে?
তোমাকে পাহারা দেবার জন্যে রয়েছে চোখ মেলে। এমন বন্ধুকে যদি না চেনো তবে এ সংসারে তুমিই একমাত্র নির্বান্ধব। মনের কথা বলে প্রান খোলসা করতে পারো এমন বন্ধু কে আছে ঈশ্বর ছাড়া? আর যাকেই বিশ্বাস করে বলো তোমার গোপন কথা, কদিন পরে দেখবে সে কথা বাজারে বিকোচ্ছে।
তখন তুমি দেখবে মতে – মতে মিলনই বন্ধুতা নয়, এক উদ্দেশ্য এক দল এক বানিজ্য এ – ও বন্ধুতা নয়। তাই কাকে তুমি বলবে তোমার প্রানের কথা, তোমার সুখ – দুঃখের কাহিনী? যদি কথা কয়ে প্রান উজাড় করে দিতে না পারো তাহলে হালকা হবে কি করে?
তাই একমাত্র যিনি বিশ্বাস্য, একমাত্র যিনি ক্ষুদ্র – অন্তঃকরন নন তাঁর সঙ্গে কথা কও। ঈশ্বরের সঙ্গে কথা মানেই সরল হয়ে যাওয়া। আর যে সরল সেই সতথ্যবাদী ।