এবার মিড ডে মিলে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠলো রাজ্যের শাসক দলের নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে।অপরদিকে রাজ্যের শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়েছে সস্তা রাজনীতি করছে বিরোধীরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলে মিড ডে মিলের পড়ুয়া সংখ্যাতে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক অশিক্ষক কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।
অভিযোগ পঞ্চম শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী অবধি স্কুলে মিড ডে মিল রান্না হয়েছে ১০০ জনের। অথচ সরকারি দফতরের হিসেবে সংখ্যাটা দেখানো হচ্ছে প্রায় ৩৫০ জন।কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলে মিড ডে মিলে উপোভোক্তা সংখ্যা এই ভাবে বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ সামনে আসার পরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নন্দকুমার ব্লকের বিডিও’র দাবি শনিবার তিনি এই স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে দেখেন, ৫০ জনের মিড ডে মিলের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ বিকেলবেলা, সরকারি পোর্টালে যে হিসেব আপলোড করা হয়, সেখানে দেখা যায়, নাম রয়েছে ৩৫০ জনের।
মঙ্গলবারই প্রধান শিক্ষক নিতাইচাঁদ প্রামাণিক ও সুকদেব মাইতি নামের একজন শিক্ষা কর্মীকে শোকজ করার জন্য স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন বিডিও।
মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশী দেখিয়ে সরকারী অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাফাই, পুরোটাই হয়েছে ভুলবশত। ওই স্কুলের প্রধান আরো বলেন,স্কুলে পরীক্ষা চলছে তাই মেসেজে হয়তো ভুল করে কোনো সমস্যা হয়েছে।
কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলে মিড ডে মিলে ‘কারচুপি’-র অভিযোগ সামনে আসার পরেই এই কান্ডের সাথে রাজ্যের শাসক দলকে জড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস।প্রদীপ বাবু বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা তৃণমূল নেতাদের দিয়ে শিক্ষকরা চাকরি পাচ্ছে। আর সেই পয়সা তোলার জন্য শিক্ষকরা মিড ডে মিলে কারচুপি করছে ।আবার নতুন এই দুর্নীতির টাকার ভাগও তৃণমূল নেতারা নিচ্ছে।
বিজেপির অভিযোগের তীব্র নিন্দা করেছেন নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা দীননাথ দাস । তিনি বলেন,বিজেপির স্বভাব হচ্ছে কোন কিছু না জেনে সস্তা রাজনীতি করতে তৃনমূলকে জড়িয়ে দেওয়া। এরা উন্নয়নে থাকে না।মানুষের সমস্যা হলে পাশে থাকেনা।অথচ ফাটা বাঁশ, সবসময় চিৎকার করে।এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তিনি