ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলীর বলাগড়ে তৃনমূলের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে।পঞ্চায়েতের নির্বাচন প্রস্তুতির
জন্যে ব্লক সভাপতির ডাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।জেলখাটা দুষ্কৃতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন
কর্মীরা।
হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে শনিবার বিকালে প্রার্থী নিয়ে বৈঠক ডাকেন ব্লক সভাপতি নবীন গাঙ্গুলী।সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন
কর্মিরা।বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির গত বোর্ডের ছয় জয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন,একাধিক প্রধান উপ প্রধান এমনকি ব্লক সভাপতি, সহ সভাপতিদেরও
টিকিট দেওয়া হয়নি।আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কর্মীরা।তাঁদের দাবি টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয় তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে।
নবীন গাঙ্গুলী বলেন,দুষ্কৃতি কোনোদিন দল করেনি এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক।এখন দল বলছে ভোট করতে হবে।কর্মিরা
যারা সারা বছর কাজ করে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।দলকে সব জানিয়েছি।
ব্লকের সাধারন সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ,টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে।বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয় তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে।
খাদ্যের কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন,প্রথম থেকে দল করছি। প্রতিবছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়।বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে
হয় আর ভেতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়।তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি।
এবিষয়ে বলাগড় বিধায়ক বলেন,২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি।যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল তাদের দেওয়া
হয়েছে।এক টাকাও নিই নি।আর টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি।যাদের থেকে টাকা নিয়েছে তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছে।
বিজেপিকে টিকিট ওরা দিয়েছে।