রামনগরের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা নামে পরিচিত রামনগরের বাধিয়ার আব্দুল খালেক কাজী। সামনেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন তারে আগেই সুর বদল খালেক কাজির। বিগত কয়েক মাস ধরে শাসকদলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে না উনাকে। জল্পনা চলছিল বিভিন্ন মহলে। হঠাৎ করেই বেসুরো আব্দুল খালেক কাজী। ৯২ সাল থেকে রাজনীতি করে আসছেন। দল তাকে সম্মান দেয়নি এমনটাই মনে করেন তিনি। রাজনৈতিকভাবে তিনি অবসর নিতে চান এমনই মন্তব্য করেন তিনি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্য দল থেকে বিধানসভার টিকিট পাওয়ার ইঙ্গিতের কথা জানান আব্দুল খালেক কাজী।যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। কোন দল থেকে তিনি টিকিট পেতে চলেছেন তা যদিও স্পষ্ট করেননি।

বর্তমান দলের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে তিনি অভিমানী। দলের প্রতি অগাধ আস্থা ভালবাসা থাকলেও কোথাও যেন ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে সরে যেতে চাইছেন তিনি। বর্তমানে শাসক দলে থেকে তিনি যেন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন এমনটাই মনে করেন তিনি। আগামী দিনে অন্য দল সম্মান দিলে অবশ্যই সেখানে যাবেন এমনটাই ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেন বর্তমান রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। রামনগর বিধানসভার একসময়ের দাপুটে নেতা ছিলেন আব্দুল খালেক কাজী। বর্তমানে দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন।

সামনেই আসছে বিধানসভা নির্বাচন।তার আগে খালেক কাজীর বেসুরো মন্তব্যে দল কার্যত যে অস্বস্তিতে পড়বে এটা বলাই যায়। রাজনৈতিক সমীকরণে অন্য দলের হাতছানি। বিজেপি, সিপিএম নাকি অন্য কোন দল স্পষ্ট করেননি খালেক কাজী। তিনি অন্য দলে যেতে পারেন সম্মান পেলে এমনটাই ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেন। ইতিমধ্যেই অন্য দল থেকে অফারও পেয়েছেন। শুধু দলে যাওয়া নয় বিধানসভার টিকিট দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে উনাকে।

আগামী দিনে কোন দল কি পদ তা পরিষ্কার করে জানানোর ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা দিলেন তিনি। স্পষ্টত দলবদল নাকি শুধুই অভিমানের সুর? প্রশ্ন থাকছে অনেক। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন তার আগেই উত্তর খুঁজছে রামনগর বাসী।





