Select Language

[gtranslate]
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ মঙ্গলবার ( ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ )

শুভেন্দুর সনাতনী সমাবেশে না, দিঘার জগন্নাথধামে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ

দিঘার জগন্নাথধামকে ঘিরে বিজেপিতে ফাটল যেন আড়াআড়ি ! দিঘার জগন্নাথধামকে ঘিরে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন রনংদেহী মেজাজে,ঠিক সেই সময়ে রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণকে ‘সম্মান’ জানিয়ে দিঘার জগন্নাথধাম পৌঁছো গেলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।সস্ত্রীক বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি পূজা দিলেন দিঘার জগন্নাথধামে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ দিঘায় জগন্নাথধামের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন করেছেন।দিঘায় গেলেও দিলীপ কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর ‘সনাতনী সমাবেশে’ যাননি।

 

বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেই মন্দিরে পৌঁছেছেন দিলীপ।মঙ্গলবার রাতেই দিলীপ জানিয়েছিলেন , মুখ্যসচিব চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বুধবার সময় পেলে তিনি দিঘার জগন্নাথধামে যাবেন।তবে বুধবার দুপুর পর্যন্তও স্পষ্ট ছিল না হাওড়ার শ্যামপুরের অনুষ্ঠান সেরে তিনি দিঘায় যেতে পারবেন কিনা ।

তবে শ্যামপুর থেকে বেরোনোর পরে স্পষ্ট হয় যে দিলীপ দিঘাতেই যাচ্ছেন।

 

মুখ্যমন্ত্রীর এই জগন্নাথধাম কর্মসূচি বয়কট করে বুধবারই কাঁথিতে পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।শুভেন্দুর উপস্থিতিতে কাঁথিতে ‘সনাতনী সমাবেশ’ হলেও দিলীপের কনভয় শুভেন্দুর ‘সনাতনী সমাবেশে’র দিকে বাঁক নেয়নি। কাঁথি পেরিয়ে সোজা চলে গিয়েছে দিঘার জগন্নাথধামের দিকে।

 

কাঁথিতে কেন যোগ দিলেন না সেই প্রশ্নে দিলীপ বললেন, আমাকে তো সেখানে কেউ আমন্ত্রণ জানাননি। দিঘায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শ্যামপুরেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই গিয়েছি।একই সাথে দিলীপের যুক্তি,অক্ষয় তৃতীয়ায় এ রকম অজস্র অনুষ্ঠান হচ্ছে। সব জায়গায় যাচ্ছি নাকি? যেখানে যেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছি, সেখানেই যাচ্ছি।

 

দিঘার জগন্নাথদেবের দর্শনের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। মন্দির লাগোয়া অতিথি নিবাসে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যান। সেখানেই রাজ্য়ের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। জগন্নাথ মন্দির দেখে অভিভূত বলেই ‘দিদি’কে জানান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

 

জগন্নাথধামে দিলীপের যাওয়া বা তাঁর মন্তব্য নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন,কে কী করলেন, কে কী বললেন, তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি একজনেরই মন্তব্যের বা কার্যকলাপের বা মিথ্যাচারের জবাব দিই। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আর দিলীপ সাংবাদিকদের বলেন,অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে হিন্দু জাগরণের অনেক কর্মসূচি থাকে। মন্দির প্রতিষ্ঠাও তো হিন্দু জাগরণেরই কাজ।বলেন ভগবান (জগন্নাথ দেব)আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাড়ে তিনশো কিলোমিটার চলে এসেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্যামপুর থেকে দু’শো কিলোমিটার যেতে পারব না!

Related News

Also Read