Select Language

[gtranslate]
৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ মঙ্গলবার ( ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ )

।। তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন করে খুনঃযাবজ্জীবন কারাদন্ড আসামির ।।

তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বাড়ির চিলেকোঠায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে,তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে তার এক প্রতিবেশিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা
দিলো আদালত।আসামীকে মৃত্যুদন্ড না দেওয়ায় হতাশ তার পরিবারের লোকেরা।বুধবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় দেন।

মামলার সরকারী আইনজীবি মো. আহাদুজ্জামান জানান ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে দৌলতপুর থানা এলাকা থেকে নাবালিকা মেয়েটি হারিয়ে যায়।
অনেক খুঁজেও না পেয়ে মেয়েটির বাবা দৌলতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রীতম কুমারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন প্রীতম। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন তিনি। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরে মেয়েটির
লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আইনজীবি মো. আহাদুজ্জামান আরো জানান বিচারক এই মামলার রায়ে একটি ধারায় আসামি প্রীতম কুমার রুদ্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা,
অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন । অপর একটি ধারায় লাশ গুমের চেষ্টার অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয়
মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা
করেছেন বিচারক।

আদালত সুত্রে জানা গেছে নিজের জবানবন্দিতে অভিযুক্ত প্রীতম বলেছিলেন, দৌলতপুর থানা এলাকার এই নাবালিকা মেয়েটি খেলা করার সময় তাকে কম্বল দেওয়ার কথা বলে
পাশেই একটি নির্মিয়মান একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। এরপর চিলেকোঠা ঘরের সামনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দিয়ে ওঠে মেয়েটি। তখন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত লেগে
মেয়েটি অচেতন হয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে ছাদে কাপড় শুকানো দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। লাশটি গুম করার জন্য বস্তার মধ্যে ভরে নির্মাণাধীন ঘরের এক
কোনায় লুকিয়ে রাখেন।

Related News

Also Read

05:45