পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরেতৃণমূলের কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূলের বিএলএ -২ ও তাঁর সহযোগীকে মারধরের ঘটনায় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল ভগবানপুর থানার পুলিশ। ধৃত ভগবানপুর অঞ্চলের দুর্গাপুরের বাসিন্দা নির্মল দাস। তিনি পেশায় অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত স্থানীয় একটি হাই স্কুলে। ভগবানপুর -৪ মণ্ডল বিজেপির সহ-সভাপতি তিনি। তাঁর স্ত্রী শুভ্রা দাস ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। বৃহস্পতিবার রাতে নির্মলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজত নির্দেশ দেন । মামলার অপর দুই আসামি বিজেপি নেতা হরিপদ দাস এবং বাবুলাল কান্ডার পলাতক। হরিপদ নিজে এবং বাবুলের স্ত্রী ভগবানপুর গ্রাম -পঞ্চায়েতের সদস্যা। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার জলিবাড় ৩৮ নম্বর বুথের ভোটারদের এসআইআর-এর এমুনারেশন ফর্ম পূরণে সাহায্য করতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূলের বিএলএ ২ পবিত্র কুমার সাউ ও তার সহযোগী দেবব্রত মাইতি। পবিত্র হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দেবব্রত। বৃহস্পতিবারই ঘটনার নিন্দা করে দোষীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিথ্যে মামলায় তাদের নেতৃত্ব ও কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সোমনাথ রায়। তার জবাবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেছেন, ‘এসআইআর- এর নামে বৈধ দের ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। আমরা মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার লড়াই করছি। তাই ওরা হিংসার রাজনীতি করছে।’ বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।





