সারাদিন একটার পর একটা ভোট কেন্দ্রে দৌড়ে বেড়ালেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থী ঊর্বশী ব্যানার্জি ভট্টাচার্য।
খেজুরীর নিজ কশবা অঞ্চলের বুথে প্রিজাইডিং অফিসার নিজের অজ্ঞতার কারণে ছুতো অভিযোগ এনে বাম কংগ্রেসের এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ায় অভিযোগ পাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তিনি গর্জে ওঠেন। তাঁর যুক্তিপূর্ণ এক কথাতেই সাথে সাথে প্রিজাইডিং অফিসার এজেন্টকে বসতে দিতে বাধ্য হন।কোথায় বুথের মধ্যে পুলিশ সহ বিরোধীদের কর্মীরা জটলা করে সুকৌশলে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেন। মুহূর্তের মধ্যে জটলা সরে যায়।
আবার কোথাও ভোট কেন্দ্রের মধ্যেই ভাঙ্গা, ইট-পাথর ,বাঁশ -কাঠের স্তূপ যা ভোটারদের স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন।
ভাজাচাউলি,সারদা,বারাতলা সহ বেশ কিছু অঞ্চলে ভোট কেন্দ্রের বাইরে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়ে ভোটারদের ভয় দেখাতে থাকে। এর মধ্যে ভোট কেন্দ্রে এক জন আর জনের ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাইন্টিফিক রিগিং এর পথ নেয়, প্রকৃত ভোটাররা এর প্রতিবাদ করেন। বিজেপি- তৃণমূল কৌশলে পটাশপুর, ভগবানপুর, দক্ষিণ কাঁথির কয়েকটি জায়গায় গোলমাল ও সংঘর্ষ পাকানোর চেষ্টা করে।বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভোটারদের সম্মিলিত উদ্যোগ, এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রচেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। ভগবানপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমন করে দুষ্কৃতীরা। শান্তিপূর্ণ ভোটদানের ক্ষেত্রে কমিশনের প্রতিশ্রুতি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছ। তাসত্ত্বেও
বেশির অঞ্চলে প্রার্থী ঊর্বশী ব্যানার্জি বাম ও কংগ্রেসের দলীয় সমর্থকদের সাথে মিলিত হন।বুথে বুথে ভোটের কাজের নিরীক্ষণ করেন। তিনি কর্মী ও ভোটারদের অভিনন্দন জানান।তাঁকে কাছে পেয়ে কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়।