ব্যাঙ্ক থেকে বারবার ফোন করে বলা হয়েছিলো অ্যাকাউন্ট এর
প্রয়োজনীয় নথি- সহ কেওয়াইসি-র ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে। সেই মত কেওয়াইসি জমা দিতেই পথে বসলো এক শ্রমিক।অভিযোগ, কাগজপত্র জমা করার ঠিক পর দিন থেকেই শুরু অ্যাকাউন্ট সাফাইয়ের কাজ। ৪ দিনে ৪ দফায় উধাও ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। এখন সঞ্চয় রাশি মাত্র ৩৫ টাকা।
সাইবার দুষ্কৃতীদের দ্বারা এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নন্দীগ্রাম থানার ধান্যখোলার বাসিন্দা গৌরীশঙ্কর রায়। কলকাতার একটি প্লাস্টিক উৎপাদন সংস্থার কর্মী। নন্দীগ্রামের আমগেছিয়ার একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় রয়েছে তার অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্টেই সাইবার প্রতারকরা থাবা বসিয়েছে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, গত ১ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কের তরফে গৌরীশঙ্করকে মেসেজ পাঠিয়ে কেওয়াইসি সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়।সেই মতো ৪ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কে গিয়ে নথি- সহ কেওয়াইসির ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে আসেন তিনি। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ হাজার টাকা ৪০০ টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ পান গৌরীশঙ্কর। এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায় মহারাষ্ট্রের থানে থেকে ৫,৬,৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর ৪ দফায় টাকাগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। ৮ তারিখেই ইমেল মারফত পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন গৌরীশঙ্কর।