কেকা মিত্র :- ২১ থেকে ২৩ মার্চ হালি শহর লোক সংস্কৃতি ভবন ও ২৪,২৫ ও ২৭ মার্চ পিতৃদেব মধুসূদন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো রংতাল থিয়েটারের ১২ তম বার্ষিক জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসব। এই উৎসবের উদ্বোধন করেন রহড়া
বালকাশ্রম মিশনের প্রধান ব্রম্ভতত্ব নন্দজি মহারাজ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নাট্য নির্দেশক
প্রকাশ ভট্টাচার্য, বিজপুর এর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,
হালি শহর পৌরসভার উপ পৌর প্রধান ড: হিমানিস ভট্টাচার্য, হালি শহর এর পৌর প্রতিনিধি দীপঙ্কর
চক্রবর্তী ও সমাজসেবী শিবপ্রসাদ দাস ও ড: বাধন সেনগুপ্ত। সকলের হাতে রংতাল এর স্বারক তুলে দেন
রতন চক্রবর্তী। এইদিন মঞ্চে আসাম এর অভিনব থিয়েটার এর কর্ণধার দয়ালকৃষ্ণ নাথ এর হাতে পিতৃদেব মধুসূদন স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেন রংতাল থিয়েটার দলের কর্ণধার রতন চক্রবর্তী। এই ছয় দিনের নাট্য উৎসবে মোট ১৯ টি নাটক মঞ্চস্থ হয়।
লোক সংস্কৃতি মঞ্চে প্রথম তিনদিন মঞ্চস্থ হয় নটরাজ কলা মন্দিরের নৃত্য , আসাম এর অভিনব থিয়েটার দলের হিন্দি নাটক ” কড়বা সাচ ” । নির্দেশনা দয়ালকৃষ্ণ নাথ। রংতাল থিয়েটার দলের রতন চক্রবর্তী র পরিচালনায় মূকাভিনয়
” দা কিলার “। মুর্শিদাবাদ এর কাজল বিত্তার রায়বেশে,
মহিসাদল শিল্পকৃতি র নাটক
সেই স্বপ্নপুর, ধূমকেতু পাপেট এর রাজার মাথার সিং, সূরপঞ্চম
অর্গানাইজেশন এর মূকাভিনয়, থিয়েলাভার্স এর নাটক চুমু,
হাওড়া কলামঞ্জরির মূকাভিনয়,
শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ব বিদ্যালয় এর নাটক ” ভা মানসী “
আসানসোল এর অমিয় মেমোরিয়াল ক্রিয়েটিভ আর্টস মূকাভিনয় ” এ কি কেলেঙ্কারি “,
মাইম এডুকেশন সোসাইটি র
মূকাভিনয়।
উৎসবের শেষ তিনদিন নাটক মঞ্চস্থ হয় রংতাল এর নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ ” পিতৃদেব মধুসূদন
মঞ্চে”। এই মঞ্চে সনাতন স্বৃতি স্বারক সন্মান তুলে দেওয়া হয় গৌতম সাহা ও ধীরাজ হাওলাদার কে। এই শেষ তিনদিন যে নাটকগুলো মঞ্চস্থ হয় সেগুলো হলো হালি শহর উত্তর সুরির নাটক ” ইচ্ছে “। মিমিক কলকাতার , লিটিল ড্রামা অর্গানাইজেশন উদয়পুর ত্রিপুরা এবং ইমন মাইম সেন্টারের মূকাভিনয়। ছিলো সোমা মাইম থিয়েটার এর নাটক আন্তিগোনে,
ফিনিক কাঁচরাপাড়ার নাটক
দক্ষিণবর্ত শঙ্খ এবং এই ছয় দিনের উৎসবের শেষ আকর্ষণ ছিলো রতন চক্রবর্তী র পরিচালনায় রংতাল থিয়েটার এর আকর্ষণীয় মূকাভিনয়
” কার দোষ “। সব মিলিয়ে জমে উঠেছিলো ১২ তম বার্ষিক জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৪।