পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এর উত্তপ্ত হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি এক ব্লকের কলাগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বিজেপির অভিযোগ বোমাবাজি করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বিজেপির অভিযোগ পঞ্চায়েত ভোট গঠনের আগে বিজেপির ৯ সদস্যকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ।অভিযোগ করা হয় বিজেপির সদস্যদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে বোম – বন্দুক দিয়ে ধমকানো হয়। বিজেপির আরো অভিযোগ এই হুমকী উপেক্ষা করে দলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েতে যাওয়ার সময়ে বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির পরাজিত প্রার্থী রাজকুমার ভূঁইয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা। হামলায় রাজকুমার ভূঁইয়ার সঙ্গে আরো পাঁচ বিজেপি কর্মী জখম হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা।
বিজেপির কাঁথি সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দলাই বলেন হামলার সময়ে পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। যার কারণে সন্ত্রাস বাড়তে থাকে।তিনি বলেন ২২ সদস্য বিশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩ টি তৃণমূল এবং নটি বিজেপি আসনে জয়লাভ করে। তবুও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে পঞ্চায়েত ভোট গঠন করা নিয়ে সংশয় ছিল। সেই কারণে বিজেপির সদস্যদের পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে দেয়নি।
বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক অভিযোগ করেন বিজেপির মহিলা সদস্যাকে বন্দুক দেখিয়ে পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেয়।
যদিও এই অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিমান নায়ক । তিনি বলেন বিজেপি সদস্যরা ভয়ে পঞ্চায়েতে আসেনি তাই তারা এসব গল্প ফেলেছে। শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়েছে। তার জন্য তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিমানবাবু আরো বলেন বিজেপির একটা গোষ্ঠী এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। অপর গোষ্ঠী বিরোধীতা করায় নিজেরাই বিবাদে জড়ায়।সেই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় আর ওরা চক্রান্ত করে তৃণমূলের নামে দোষ চাপাচ্ছে। এ জিনিস বেশি দিন চলতে পারে না।

