প্রদীপ কুমার সিংহ :-;জীবনতলায় ১৯০ ই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও একটি বন্দুক উদ্ধারকান্ডে বারুইপুর থেকে এস টি এফ আরো একজনকে গ্রেফতার করল রবিবার রাতে।
রাজ্যের বিভিন্ন শুটআউটে ব্যবহৃত বেআইনী পিস্তল-কার্তুজের মূল উৎস বের হলো বেঙ্গল এস টি এফের তদন্তে। উদ্ধার হলো বিপুল সংখ্যক ফ্যাক্টরি-উৎপাদিত তাজা কার্তুজ। গ্রেফতার কলকাতা শহরের বুকে নামী অস্ত্র-কার্তুজ বিপণন দোকানের কর্মচারী সহ মোট চারজন বেআইনী অস্ত্র ব্যবসায়ী।
জীবনতলা থানা এলাকায় বারুইপুর জেলা পুলিশের স্থানীয় থানার সাথে উত্তর ২৪ পরগনা মিনাখা থানার বিশেষ পুলিশ টিমকে সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করল ১৯০টি তাজা কার্তুজ। এছাড়া নয়টি বারো বোরের কার্তুজ সহ উদ্ধার একটি বারো বোরের ডাবল ব্যারেল বন্দুক।
ঘটনায় হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর আশিক ইকবাল গাজী(৪০)ও আবদুল সেলিম গাজী(৪৫), নদীয়ার বাসিন্দা জয়ন্ত দত্ত(৪৯) জিবনতলার বাসিন্দা হাজী রশিদ মোল্লাকে (৭১)গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর উজিরের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তাদেরকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে । গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করে বেঙ্গল এস টি এফ। এলাকায় মাছের করবার করে অভিযুক্ত রশিদ মোল্লা। ফিসারীতে মাছ চাষ করে অভিযুক্ত। ধৃতের ছেলে ভাঙর এলাকা থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে, বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বিবাদীবাগে দোকান কাজ করতো এর মধ্যে দুই একজন সেই সূত্র ধরেই ওই দোকানে তল্লাশি এসটিএফ এর.
আশিক ইকবাল গাজী, আবদুল সেলিম গাজী,জয়ন্ত দত্ত,হাজী রশিদ মোল্লা গ্রেপ্তার করে তাদেরকে আলিপুর আদালতে তুললে আদালতে মহামান্য বিচারক
১৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত চার জনের।
অস্ত্র উদ্ধার এর ঘটনায় বেঙ্গল এস পি এফ এর হাতে গ্রেপ্তার আরো এক।।ফারুক মালিক।

রবিবার রাতে জীবনতলা কার্তুজ কান্ডে শান্তনু সরকার নামে এক ব্যক্তিকে চম্পাহাটি থেকে গ্রেফতার করলো এসপিএফ পুলিশ। শান্তনুর বাড়ি বারুইপুর থানার অন্তর্গত চম্পাহাটি খ্রিস্টান পাড়া এলাকায়। সে রশিদের কাছ থেকে বন্দুক কিনে ফারুককে বিক্রি করেছিল।
সোমবার সকালে সান্তনু সরকারের সাংবাদিকরা তার বাড়িতে গেলে তার মা বলেন আমি এই বাড়িতে থাকি না আজ সকালে এসে শুনলাম আমার ছেলেকে কাল রাত্রে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশে। আমার ছেলে ২০০৪ সাল থেকে কলকাতা একটি বন্ধুকে দোকানে কাজ করে। ও খুব ভালো ছেলে। এইসব কাজে জড়িয়ে নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে শান্তনু সরকারের তিন তলা বাড়িতেই থাকতেন।
