আর দু দিন পর কালীপূজা ও দীপাবলী। গত বর্ষায় ফুলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কালী পূজার প্রাক্কালে সমস্ত ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। চলতি বছরের বর্ষায় বেশ কয়েকবার নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফুলের চাষ ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। ফলস্বরূপ সমস্ত রকম ফুল বারে বারে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। মূলতঃ দোপাটি-গাঁদা-অপরাজিতা-রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ধরনের পাপড়িযুক্ত ঝুরো ফুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সব মিলিয়ে কালীপুজোর দিনে ফুলের বিপুল চাহিদা পূরণে যোগানে খানিকটা সংকট দেখা দিয়েছে এবং স্বভাবতই দাম বেড়েছে। সেইমত আজকে রাজ্যের বৃহত্তম কলকাতার মল্লিকঘাট,পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট,দেউলিয়া ফুলবাজার সহ জেলার ফুলবাজারগুলিতে ফুলের দাম বেশ চড়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। আজকের পাইকারি ফুলবাজারগুলিতে ঝুরো লাল গাঁদা ১৮০-২০০ টাকা,হলুদ গাঁদা ২৩০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লম্বা লাল গাঁদা ফুলের এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকা। ওই একই সাইজের হলুদ এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। অন্যদিকে দোপাটি ঝুরো প্রতি দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা, অপরাজিতা দাম ছিল ২৫০-৩০০ টাকা প্রতি কেজি। এক কিলো রজনীগন্ধার দাম ছিল ৪০০-৪৫০ টাকা। পদ্ম বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা দরে। হাজার জবার কুঁড়ির দাম ছিল ৬০০-৭০০ টাকা। গোলাপ প্রতি পিস ৩ থেকে ৪ টাকা। সব মিলিয়ে ওই ফুলগুলোর দাম অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ছিল আকাশছোঁয়া।
সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,কালীপূজার দিন রাজ্যের সর্বত্র জবা সহ বিভিন্ন ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। কালী পূজার দিন জবা আবশ্যিক হওয়ায় ওইদিনের বিশাল পরিমাণ জবার চাহিদা মেটানোর জন্য কয়েকদিন আগে থেকে সাধারণত জবা ব্যবসায়ীরা হিমঘরে জবা মজুত করে। চলতি বছরে বড় ধরনের রাজ্যের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে বন্যা না হওয়ায় এ বছর জবার ফলন বেশ ভালো। ফলস্বরূপ জবার যোগানে খুব একটা ঘাটতি নেই। তবে দাম খানিকটা চড়া। কিন্তু অন্যান্য পাপড়িযুক্ত বিভিন্ন ঝুরো ফুলের যোগান অনেকটা কম থাকায় আজকের বাজারে ওই ফুলগুলির দাম ছিল আকাশছোঁয়া।





