প্রদীপ কুমার সিংহ
গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। মৃত ব্যক্তির নাম লিটন মজুমদার (২৩)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থানা অন্তর্গত বেদবেরিয়া রামকৃষ্ণ পল্লীতে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর লিটন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতো। বেদবেরিয়ায় পাশের এলাকায় প্রিয়াঙ্কা কুন্ডুর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল বহুদিন ধরে। একমাস আগে লিটনের পরিবারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা পরিবারের বিয়ের জন্য কথাবার্তা হয়। ৭ দিন আগে লিটন প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে গিয়েছিল তাতে করে প্রিয়াঙ্কা বাড়ির লোকেরা সঙ্গে অশান্তি হয়। আবার বুধবার দিন সন্ধ্যায় পিয়াংকার বাড়িতে লিটন গিয়েছিল তাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং সেখানে ও অশান্তি হয়। শেষে বৃহস্পতিবার সকালে লিটন বাড়ি ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেয়। পরিবারের অন্য মানুষ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারলে লিটনকে সঙ্গে সঙ্গে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতলে নিয়ে আসে চিকিৎসক সব তাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করে। বারুইপুর থানার খবর গেলে বারুইপুর থানার পুলিশ লিটনের নিথর দেহটি ময়নাতন্ত্র জন্য পাঠায়। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এলাকার চাঞ্চলো ছড়ায়।
পাশাপাশি এক ব্যক্তির পচা গলার মৃতদের উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জীব চ্যাটার্জী (২৯)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বারুইপুর থানার অন্তর্গত বারুইপুর কুরালীর মহেশ্বর পাড়ায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর সঞ্জীব বাবু পেশায় বাদ্যযন্ত্রক ছিলেন। দশ বছর আগে প্রথম বিয়ে হয়েছিল শর্মিলা চ্যাটার্জির সঙ্গে। তাদের আট বছরে একটি সন্তান আছে। তিন বছর আগে আবার গঙ্গা দেবীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ করে জীবনতলা থানার অন্তর্গত পিয়ালী জলের ট্যাংকের কাছে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। কিন্তু তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে অশান্তি লেগে থাকত। মাঝে মাঝে সঞ্জীব বাবু কুড়ালির বাড়িতে যাতায়াত করতো। শেষে দুদিন ধরে সঞ্জীব বাবুর সঙ্গে তার পরিবারের লোকেরা ফোন করলে কোন উত্তর পেত না। সঞ্জীব বাবুর পরিবারের লোকেরা পিয়ালী এলাকায় যায় সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোন খোঁজ খবর পাইনি । বারুইপুর থানার খবর দিলে বারুইপুর থানার পুলিশ পিয়ালীর সেই ভাড়াটে বাড়িতে যায় তার পচা গলা দেহ উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক সঞ্জীব বাবুকে থেকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ তার রিপোর্ট দেহটি ময়লা তদন্তের জন্য পাঠায় শুক্রবার। সঞ্জীব বাবুর পরিবারের লোকেরা বারুইপুর থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগের ভিত্তিতে বারুইপুর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।