বিপত্তারিণী পূজা উপলক্ষে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বিশেষ পুজোপাঠ দিনভর। তমলুক শহরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা। পুরানে বর্ণিত এই মন্দির ৫১ সতীপিঠের একপিঠ। সারা বছর প্রতিদিন পুজোর পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিভিন্ন রূপে পূজিত হন দেবী বর্গভীমা। হিন্দু শাস্ত্র মতে বিপত্তারিণী পুজো হয় এই মন্দিরে। রথযাত্রা ও উল্টোরথ যাত্রার মাঝের শনি ও মঙ্গলবার বিপত্তারিণী ব্রত রেখে পুজো দেন হিন্দু ধর্মের মহিলারা। ২৮ জুন শনিবার সকাল থেকেই বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়।
কথিত আছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। দেবী চণ্ডীর আরেক রূপ এই বিপত্তারিণী দেবী। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলারা করে থাকেন। ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা দিয়ে ১৩টি গিঁট বেঁধে ধাগা তৈরি করতে হয়। ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দেয় হিন্দু ধর্মের মেয়েরা। পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। পুজো শেষে মহিলারা লাল সুতো বাম হাতে এবং পুরুষেরা কব্জি বা বাহুতে পরেন। ব্রত কথার পর উপবাস ভঙ্গ করে পুণ্যার্থীরা।
বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্য প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল দেখা গেল বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আনাগোনা। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হিন্দু দেবী রূপে পুজিত হন এই দেবী।
সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম এই দেবী। সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ হলেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মানুষজনেরা তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বিপত্তারিণীর পুজো দিতে আসছেন।