দোলা ভট্টাচার্য :- “সত্যি, তোর নাম টা সার্থক রে।” __ অভীপ্সা র কথায় ভিতরে ভিতরে হাসে চাঁদনী। ইকনমিক্স অনার্স এর ২য় বর্ষ। স্কুল থেকে, আত্মীয় স্বজন থেকে এই কথা গুলো শুনতে শুনতে ভিতরে ভিতরে সে যেন চাঁদের ই মানবী রূপ হয়ে উঠেছে । কলেজ ছুটির পর দু বন্ধু মিলে বাস ধরার জন্য এগোতে থাকে। ছাতা আনেনি চাঁদনি। বৃষ্টি আসতে পারে। অভীপ্সা র ছাতা টা ভরসা ছিল এতক্ষণ। ওর বাস এসে যাওয়ায় উঠে পড়েছে। এখানে কোনো শেড নেই। বৃষ্টি এসে গেলেই হয়েছে। বলতে বলতে ই বড় বড় ফোঁটা শুরু। কি করবে ভাবছে যখন, তখন পুরো ফিল্মি কায়দায় মাথার ওপর ছাতা ধরল বৈদুর্য। ” উফ্, বাঁচালি রে! থ্যাংকস রে।” চাঁদনীর কথায় হেসে ফেলে বৈদুর্য, ” হয়েছে রে। তোর মাথায় ছাতা ধরে কৃতার্থ বোধ করছি।” ” এই চুপ কর তো, flattery করে কথা বলবি না একদম। ভীষণ ন্যাকা ন্যাকা লাগে। এই আমার বাস এসে গেছে। চলি রে। টা টা।” বৈদুর্য কে কিছু বলার অবকাশ না দিয়ে বাসে উঠে পড়ে চাঁদনী।
গ্র্যাজুয়েশন এর পর পি. জি করতে হবে। চাঁদনী জানে তাদের সংসার এর আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী তাকে জেনারেল লাইনে পড়াশুনা করেই কিছু একটা বন্দোবস্ত নিজের জন্য করতে হবে। তাই তাকে পড়াশুনো করতে হবে, টিউশনি করতে হবে, টিউশন নিতে হবে – এগুলো সে বিলক্ষণ জানে। আর কোনো দিকে নজর দিতে চায় না। একটা কথা বুঝে গেছে ও এখন ” প্রেমে পড়া বারণ।”
আজ অভীপ্সা র বিয়ে। বি.এ. পাশ করার পর আর বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে চাননি ওর বাবা। তিন বোন ওরা। তাই হয়ত… আজ খুব সেজেছে চাঁদনী।শাড়ি পরেছে দিদির থেকে নিয়ে। ওরা পাঁচ বন্ধু মিলে যাবে। বৈদুর্য ওদের গাড়ি নিয়ে আসবে। তেল, ড্রাইভার এর পয়সা সবাই ভাগ করে দিয়ে দেবে।
” আয় চাঁদনি, উঠে আয়। হেব্বি লাগছে।” বলতে বলতে শিঞ্জিনি গাড়ির দরজা খুলতে গিয়ে লেগে গেল চাঁদনীর হাঁটুতে। শাড়ি পরে , হিল জুতোয় বেচারা সামলাতে পারেনি। পড়ে গেল দুম করে।লেগেছে ভালই। বাড়ির ভিতর গিয়ে বরফ টরফ দিয়ে, পেন কিলার খেয়ে আবার যাত্রা। মুখে হাসি টুকু ধরে রাখলেও পায়ের ব্যাথা টা যেন যাচ্ছে না।
“শুনুন, যেরকম চোট পেয়েছে knee তে, এক্স রে, এম. আর .আই করে আনুন। তারপর বলতে পারব।” ডাক্তারের কথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে চাঁদনীর বাবা তাপস সান্যাল এর মাথায়। এম. আর. আই! মেলা টাকার ধাক্কা। সংসার চালাতেই হিমশিম। কোনরকমে ঠেকা জোড়া দিয়ে চলা। ছেলে মেয়ে বিয়ে করে যে যার মত। কোথা থেকে খরচ জোগাড় হবে। ” ডাক্তার বাবু, অন্য কোনো উপায়ে কিছু করা যায় না?” তাপস বাবুর কথায় এই ডাক্তার আর কোনো দিক নির্দেশ দিতে পারলেন না। ” বুঝলে মিতালি, আমি পুপি কে অন্য ডাক্তার দেখাব। সেকেন্ড opinion নেওয়া টা দরকার।” মিতালি, চাঁদনি ওরফে পুপির মা বুঝছেন, সমস্যা টা কোথায়।
” শোন, বাবু, রুবি কে একবার বলব?”
” না। মিতু, রুবির বিয়ে হয়ে গেছে। বাবু, বৌমা তেমন কিছু করবে বলে মনে হয় না। আমি দেখছি কি করা যায়।” ঘরে বিছানায় শুয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে চাঁদনী।
শুনুন, ওর pattela ফ্র্যাকচার হয়েছে ডান পায়ের হাঁটু তে।অপারেশন কেস। না করাতে চাইলে রেস্ট নিয়ে ফিজিওথেরাপি করান। But, it will take time.” দ্বিতীয় ডাক্তারের কথায় একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তাপস বাবু। অপারেশন এ অনেক খরচ। তার চেয়ে….
দেখতে দেখতে মাস্টার্স টাও হয়ে গেল যাদবপুর থেকে। বাড়ি থেকে বিয়ের কোনো চাপ নেই চাঁদনীর। কোনোদিন থাকবেও না। জানে চাঁদনী। এক দাদা, এক দিদি বিয়ে করেছে । দাড়িয়েছে। রোজগার করেছে। তারপর বিয়ের পিঁড়ি। বাবার কোনো সঞ্চয় নেই। কোনোদিন ই তেমন রোজগার নেই। ছোট্ট ব্যবসা। তার ওপর চাঁদনীর পা আর আগের মত হয়নি। একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। আর চাঁদনী হয়েছে রাজকুমারীর মত রূপ নিয়ে। Apply করেছে পি. এইচ. ডি র জন্য। যে allowance টা দেবে মন্দ না। চার, পাঁচ বছরের জন্য খানিক নিশ্চিন্ত। এইট বি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল চাঁদনী। একটু আনমনা।” কি রে? কেমন আছিস? ” হটাৎ করে পিছন দিক থেকে কাঁধে হাত পড়তে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে অভীপ্সা। সেই বিয়ের দিনের পর আর ওর সঙ্গে দেখা হয় নি। মিষ্টি লাগছে। ” তুই কেমন আছিস? ফেস বুক খুললে মাঝে মাঝে তোর ছবি দেখি অবশ্য।” চাঁদনীর কথায় হেসে ফেলে অভীপ্সা। এ হাসি সুখে থাকার হাসি। “চল কোথাও গিয়ে একটু কফি খাই। মাসী শাশুড়ির বাড়ি পুজোর জামা কাপড় দিতে এসেছিলাম।”
“আজ থাক রে। আমায় অনেক দূর ফিরতে হবে জানিস তো। সেই ব্যারাকপুর।” বলতে বলতে ক্যাব বুক করতে থাকে চাঁদনী। আজ বাসে নয়। ক্যাবে যাবে সে শিয়ালদহ। কেন জানি না এই প্রথম একটু সংকোচ লাগছে। সে কি তার খুঁড়িয়ে হাঁটার জন্য? না কি মেয়েদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা বলতে যা বোঝায় টা না পাওয়ার জন্য। আজকাল আত্মীয়, বন্ধু, অনাত্মীয় সবার কাছে শুধু সহানুভূতি মার্কা কথা শুনতে হয়। ভালো লাগে না। একা লাগে। সেও ভালো অনেক। “চাঁদনী, তোর পা টা….” বলতে গিয়ে চুপ করে যায় অভীপ্সা। খুব কষ্ট হতে থাকে ওর। ওর বিয়ের দিনই এটা ঘটেছিল।
ফেসবুক এর দৌলতে ক্ষীণ যোগাযোগ আছে সবার সঙ্গেই। ছবি টবি দেখে চাঁদনী। কিন্তু তেমন একটা আগ্রহ বোধ করে না। কোথাও কোনো চাকরি নেই, যেমন টা ও চায়। কলেজে পড়ানোর চাকরি। ইলেভেন, টুয়েলভ এর ইকোনোমিক্স, বি.এ. পাস কোর্স এর ইকোনমিক্স পড়িয়ে যা রোজগার হয়, তার থেকে সংসার এও দিতে হয়। এখন পি.এইচ. ডি তে চান্স পেলে ওই স্কলারশিপ এর টাকাটার দিকে তাকিয়ে আছে চাঁদনী।
সকালবেলার ইলেভেন টুয়েলভ এর ব্যাচে ” চাহিদা – যোগান” এর তত্ত্ব পড়াতে গিয়ে মনের মধ্যে উঁকি দেয় ওর, একসময় কত মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখত।এখন এই ২৪ বছর বয়সেই নিজেকে বুড়ি লাগে যেন। তার চাহিদা ছিল কত! আর যোগান কত কম! এখন তো তারও যেন কোনো চাহিদা নেই। এবার প্রতিবন্ধী তালিকায় নিজের নাম লেখাতে হবে মনে হয়।
ডক্টর মিত্র র কাছে কাজ করতে ভালো লাগছে চাঁদনীর। সব থেকে সুরাহা হচ্ছে ফেলোশিপ এর টাকাটা পেয়ে। খুব মন দিয়ে কাজ করছে চাঁদনী। যাতে এই পাঁচ বছরের মধ্যে পুরো পেপার ও সাবমিট করতে পারে। টাইম লিমিটের মধ্যে না করতে পারলে ফেলোশিপ টা বন্ধ হয়ে যাবে। আজ স্যার ওঁর বাড়িতে ডেকেছেন লাঞ্চে। স্যার এর সঙ্গেই যাবে। ইউনিভার্সিটি কোয়ার্টার এই থাকেন ফ্যামিলি নিয়ে।
“এস, বসো। তোমার কথা তোমার sir বলেন। খুব ব্রিলিয়ান্ট আর পরিশ্রমী তুমি।” বলতে বলতে ম্যাংগো shake এগিয়ে দেন মিসেস মিত্র। “ম্যাম, ওয়াশ রুম টা…” ” এই চাঁদনী, আমাকে ম্যাম বোলো না , কাকিমা বলো। ওয়াশ রুম ওই ডান দিকে। ” অঙ্গুলি নির্দেশ করে দেখান মিসেস মঞ্জুলা মিত্র।
খাবার টেবিলে আলাপ হোলো স্যার এর ছেলে, মেয়ের সঙ্গে। ছেলে প্রভাতকিরন, মেয়ে প্রত্যুষা। মেয়ে খড়গপুর আই আই টির স্টুডেন্ট। ” বাপ্টু, তুই তো এখন বেশ কিছুদিন থাকবি এখানে, এই আমার স্টুডেন্ট, চাঁদনীর পা টা একটু দেখিস তো ভালো করে। পা টা কি করে ঠিক করা যায়।” স্যার এর কথায় আর প্রভাতকিরণ এর দৃষ্টি তে খুব অপ্রতিভ বোধ করতে থাকে চাঁদনী। প্রভাতকিরন অস্থি বিশেষজ্ঞ। চেন্নাই এর কোনো হসপিটাল এ।এটুকু বুঝল চাঁদনি।কোনরকমে লাঞ্চ টাইম শেষ করে উঠে পড়ে চাঁদনী। সকলকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি চলে আসে।
” তুমি দুদিন এলে না কেন চাঁদনী? মঞ্জু বলছিল সেদিন তোমার পায়ের বিষয়ে হটাৎ করে ওরকম বলা আমার ঠিক হয় নি। আসলে এতদিন তোমাদের, তোমাকে পড়াচ্ছি। নিজের মত ভাবি। তাই আর কি….” ডক্টর মিত্র র কথায় আরও অপ্রস্তুত লাগে চাঁদনীর, ” না না sir। ঠিক আছে।”
” কোথায় পড়েছিলেন, কিভাবে পড়েছিলেন? পুরনো ট্রিটমেন্ট যা হয়েছিল তার সব কাগজপত্র আনতে বলেছিলাম। এনেছেন?” ডাক্তার প্রভাত এর হাতে কাগজ গুলো তুলে দিতে দিতে history টা বলতে থাকে চাঁদনী। এখানে ওনার কোনো ডাক্তার বন্ধুর চেম্বার এ তাকে দেখা হচ্ছে বুঝছে চাঁদনী। ” শুনুন, এম. আর. আই তো করেন নি। ওটা করতে হবে। এটা মূলত অপারেশন কেস এক্স রে দেখে যা বুঝছি। অপারেট করলে আপনি ভাল হয়ে যাবেন। ” প্রভাতের কথায় আবার চিন্তা টা মাথা চাড়া দেয়। টাকার চিন্তা। অপারেশন এর খরচ। ” দেখুন, এমনিতে আমি ঠিকই আছি। ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ, ফিজিওথেরাপির পর ঠিকই আছি। একটু সামান্য অসুবিধা, মানে ওই আর কি। তারপর অপারেশন হলে বেশ অনেকদিন রিসার্চ এর কাজটাও আমার আটকে যাবে।” ঠিক জোর এর সঙ্গে বক্তব্য পেশ করতে পারে না চাঁদনী।
তারও যে মনে মনে কতদিন এর আশা, একটা সুস্থ স্বাভাবিক পা। ” শুনুন, বাপির সঙ্গে সব কথা হয়ে গেছে আমার। আপনার বাবাকে আনবেন একদিন এম.আর. আই. হয়ে গেলে। এবার পা টা দেখান।”
“লাগছে? দেখুন তো এখানে , লাগছে?” মাথা নেড়ে এক চোখ জল নিয়ে সায় দেয় চাঁদনী ডাক্তার বাবুর কথায়।
এখন রোজই বলতে গেলে প্রভাত চাঁদনী কে গাড়ি করে পৌঁছে দেয় শিয়ালদহ স্টেশন। চাঁদনী বারণ করেছে অনেকবার। প্রভাত জানিয়েছে,” বাবা বলেছে, যে কদিন আছি, সে কদিন এই কাজটা আমায় করতে।”
প্রভাত নিজেই চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে সে প্রেমে পড়ে যাচ্ছে কি না চাঁদনীর। নইলে প্রতিদিন ওর ছুটির সময়ে অপেক্ষা করে কেন? ও পাশে বসলে গলাটা শুকনো লাগে। নিজেই ভাবে সে একজন ডাক্তার। এইসব ন্যাকামো ডাক্তারের এথিক্স এর বাইরে। তাহলে তো সব সুন্দরী রুগী দের প্রেমে পড়বে ডাক্তাররা হামেশাই। টুকটাক প্রেমে যে পড়ে নি এযাবৎ প্রভাত তেমনটা নয়। কলেজের প্রেম হাউসস্টাফ এর প্রেমে পড়া… কিন্তু এবারের ফিলিং টা অন্য। এখন শিয়ালদহ স্টেশন এর বাইরে গাড়ি পার্ক করে রোজ ট্রেন এ তুলে দিয়ে পর্যন্ত আসছে প্রভাত। নিজেই নিজেকে তার কারণ দর্শাতে থাকে,”সেদিন সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে ও পড়ে যাচ্ছিল।”
চাঁদনী অদ্ভুত একটা দোটানার মধ্যে ভুগছে। Distracted হচ্ছে তার রিসার্চ এর জগৎ থেকে। পা এর কথা ভাবতে গেলে প্রভাতের প্রেমে পড়তে সংকোচ হচ্ছে। আর প্রভাতের প্রেমে পড়েছি ভেবে ভালো লাগলেই পা এসে টেনে ধরছে।
চাঁদনীর পা successfully operated হয়েছে। তিনমাস রেস্ট। ফিজিও কবে থেকে শুরু হবে না হবে সব প্রেসক্রিপশন এ লিখে দিয়ে গেছে প্রভাত। তবে ফোন এ সে নিয়মিত খোঁজ নেয় চেন্নাই থেকে তার পেশেন্ট এর। ভিডিও কলে পা এর কন্ডিশন দেখে একেবারে ডাক্তারি সুলভ কায়দাতে। ব্যাপার হল, সেই একই। মায়ের চোখ কে ফাঁকি দিতে পারে না কেউই। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হোলো না। কিন্তু এগোবেন কি করে তাঁরা এই ভাবনাই ভাবাচ্ছে।
“আমাদের ভাবনা গুলো কি একসঙ্গে মার্জ করা যায় না চাঁদনী?” প্রভাত এর হাত টা এগিয়ে আসতেই দুহাত দিয়ে কফি মগ ধরে কফি তে চুমুক দেয় চাঁদনী। “দেখুন, এটা তো আর ষোল, সতের বছরের ভালোলাগালাগি নয়। একটা matured ইস্যু। পরিষ্কার করে বলতে গেলে, economically আমরা এক লেভেল এ belong করি না। আমি নিজে স্বনির্ভর নয় এখনও। এরকম অবস্থায় ঠিক কি করে এ বিষয়ে এগোনো যাবে, আমি বুঝছি না।”
“আমাকে তোমার কি অপছন্দ হয়? প্রভাতের প্রশ্নের উত্তরে হেসে ফেলে চাঁদনী। “তাহলে এতদিন শিয়ালদহ অবধি আপনার লিফ্ট নিতাম না। আমার মূল কথা হোলো আমার স্বপ্ন টা আমি ছাড়ব না কিছুতেই। দুই, আমি না দাঁড়ালে আমার বাবা মার সাপোর্ট হতে পারব না। আপনার আর্থিক আনুকূল্য দিয়ে তাঁদের আমি বাঁচাতে চাই না।”
“উফ্, হয়েছে হয়েছে। আর এত কঠিন কঠিন কথা বলতে হবে না তোমায়। কফির গরম, তোমার কথার গরম… তোমাকে বিসর্জন দিতে হবে না তোমার স্বপ্ন।
তোমার স্বপ্ন পূরণ হলে আমাদের নতুন জীবনের আবাহন হবে। এবার তো একটু হাতের ওপর হাত রাখি।” চাঁদনীর কমলকলির মত আঙ্গুল গুলো হাতের মুঠোয় পুরে নেয় প্রভাত। চাঁদনী এই প্রথম প্রভাতকিরন এর উত্তাপ অনুভব করে এই প্রভাতের স্পর্শে। তার লজ্জা রাঙা মুখে সিঁদুরে আলো।
আজ একটা পার্টি দিয়েছে প্রভাত আর চাঁদনী। মেসেঞ্জার এ মেসেজ করে ইনভাইট করেছে তার সব হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের – অভীপ্সা, শিঞ্জিনী, বৈদুর্য, অপালা … সবাই এসেছে। এসেছে তাদের প্রিয় বন্ধু, অধ্যাপিকা ডক্টর চাঁদনী সান্যাল এর প্রি ওয়েডিং পার্টি তে।