Select Language

[gtranslate]
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ মঙ্গলবার ( ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ )

।। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই,তবে ঘরে নয় রাজনীতির ময়দানে ।।

বাড়ির পরিবেশ বামপন্থী নীতি আদর্শের অনুসরণে চলা।
বাবা পঞ্চানন হাজরা আজীবন বামপন্থী, পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির তিন বারের সদস্য ছিলেন,মা আরতি সাধুখাঁ হাজরা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন।তাদের দুই ছেলে এবার পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন।
পান্ডুয়ার খিরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের খিরকুন্ডি গ্রামে দুই ভাই প্রার্থী হয়েছেন একে অপরের বিরুদ্ধে।দাদা সিপিএম এর নীতি আদর্শ নিয়ে বাবার পথে চলেছেন,আর ভাই বিজেপির প্রার্থী। পান্ডুয়ায় দুই ভাইয়ের লড়াই এখন চর্চায়।
বড় ছেলে বিজয়ানন্দ বাবার পথ অনুসরন করেন বামপন্থী মতে বিশ্বাসী।ছোটো ছেলে আনন্দ আবার মোদির ভক্ত।তাই দুজনে দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট ময়দানে।দুই ভাই এর হাঁড়ি পৃথক হলেও মনে মিল আছে।তবে ভোটে একে অপরের বিরুদ্ধে জিততে মড়িয়া।গ্রামের কাজ মানুষের কাজ করতে চান দুজনে।একশ দিনের কাজ বন্ধ,আবাসের ঘর অমিল,পানীয় জল,রাস্তা,গ্রামের মানুষের হাজার অসুবিধা দূর করতে চান দুজনেই তাই ভোটে জিততে শুরু করেছেন এলাকার সমস্যার কথা তুলে প্রচার প্রচার।আর কটা দিন ভোটের বাকি,এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। বাড়ি বাড়ি ঘুরে দুবেলা কর্মিদের নিয়ে চলছে প্রচার।
দুই ভাই দু’দলে হলেও তাদের দ্বন্দ্ব নেই।নীতির লড়াই আছে।দুজনেই অবশ্য দূর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে ভোট চাইছেন।
বিজয়ানন্দ বলেন,ভাই বিজেপির প্রার্থী হয়েছে আমার কোনো অসুবিধা নেই।প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আছে।বাবার কাছে রাজনীতি শিখেছি।আমি বামপন্থী মতে বিশ্বাসী।তাই সিপিএমের প্রার্থী হয়েছি। মানুষকে বলছি দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আমাকে ভোট দিন।
আনন্দ বলেন,আমি বিজেপির প্রার্থী হব প্রথমটায় বাড়িতে বলতে অসুবিধায় পরেছিলাম।পরে বাবাকে বুঝিয়েছি।পরিবার আলাদা রাজনীতি আলাদা জায়গায়।দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমি বিজেপির পক্ষ নিয়েছি।

Related News

Also Read