দুর্নীতি কান্ডে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই বিজেপি নেতা সৌম্যেন্দু অধিকারী।পৌরসভার একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতে এবার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের টেন্ডার ও ভবন নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ঘিরতে চলেছেন সৌম্যেন্দু।তবে কলেজ কান্ডে শুধু সৌম্যেন্দু অধিকারী নন,প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীর মেজ ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও দক্ষিন কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাসও। কলকাতা হাই কোর্টের বুধবারের একটি নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই এলাকায় বিজেপি সমস্যায় পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
ঘটনার সুত্রপাত এই বছরেই শুরু দিকে,কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে বিল্ডিং দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালত সব কিছু দেখে এই আবেদন ফিরিয়ে দেয় নিম্ন আদালতে।
কাঁথি মহকুমা আদালতের নির্দেশের মূলে কাঁথি থানার আই সি এই মামলায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তের ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ করে তৎকালীন কাঁথি কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা কাঁথি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্ট একটি রক্ষা কবজ দেন বিরোধী দল নেতার ভাইকে।
তবে মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে,ইতিমধ্যে কলেজের কর্মী ও কলেজ অধ্যক্ষ কে জিজ্ঞাসাবাদ ও করা হয়। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত আধিকারিকরা।
এদিন ঐ মামলার আবারো শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। দুই পক্ষের আইনজীবী সওয়াল জবাব শোনার ওর বিচারক মনে করেন এই ঘটনার তদন্তে আরো কিছু দুর্নীতির প্রমান বের হতে পারে।
বিচারপতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসককে পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত করার নির্দে দিয়েছেন। সেই তদন্ত রিপোর্টটি জেলা শাসককে ৯ নভেম্বর এর মধ্যে হাই কোর্টে জমা করার জন্য জেলা শাসককে বলেছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি।
‘এই মামলার পক্ষের বিশিষ্ট আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, এই মামলাটি আমি করেছিলাম, আমার কাছে তথ্য ছিল যে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ নব নির্মিত ভবনের নির্মাণ বরাদ্দ এবং তৈরির ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে আমি প্রথমে একটি জনস্বার্থ মামলা করি। পরে হাই কোর্ট সেই মামলা,নিম্ন কোর্টে পাঠায় ও আই সি কাঁথি কে নির্দেশ দেয় একটি মামলা করার জন্য। সেই মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে। আজকের শুনানি ছিল সব কিছু শোনার পর। আদালত অনুধাবন করেন আর অনেক কিছু হয়ত বেরোতে পারে । তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক একটি পৃথকভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করতে বলেছে। সেই তদন্ত আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আদালতে জমা করার কথা বলেছে মাননীয় বিচারক।’
কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা জানার পরেও অধিকারীদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।তবে এই রায়ে খুশী তৃনমূল।








