গত ৯ মে রামনগর থানার চন্দন পুর কাজু উদ্যান থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছিল রামনগর থানার পুলিশ। তার দুদিন পরে কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাথার খুলি। তারপর থেকেই তদন্তে নামে রামনগর থানার পুলিশ এবং তার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় খুনের আসামিদের গ্রেপ্তার করলো রামনগর থানা পুলিশ।
শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে রামনগর থানার হামিরপুর এলাকা থেকে রাজিব বর। রামনগর থানার বারঙ্গা থেকে সামিল ইসলাম এবং দিঘা থানার মণ্ডলা গ্রাম থেকে সোমনাথ দাসকে গ্রেফতার করে রামনগর থানা পুলিশ।
এই অভিযানে নেতৃত্ব ছিলেন রামনগর থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
তবে আসামিরা খুনের কথা স্বীকার করলেও কি কারণে জন্য খুন তা এখনো সুস্পষ্ট নয়।
সেই সঙ্গে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে যেখানে খুনের সময় সমস্ত ঘটনাটি তারা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখে। সেই হাড়হিম করা ভিডিও রেকর্ডিং পুলিশের হাতে। তবে এর মধ্যে আরও এক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
মৃত যুবকের নাম পুলিশ জানতে পেরেছে। ওই যুবকের নাম রাজীব দাস বাড়ি দিঘা থানার মন্ডল গ্রামে ওই যুবক দিঘার একটি হোটেলে কাজ করতো।
পুলিশের অনুমান হোটেলের কোন ব্যবসা বা টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। সেই সঙ্গে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আরেকজন স্থানীয় যুবক জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।