প্রদীপ কুমার সিংহ :- বারুইপুর রবীন্দ্রভবনে একুশে জুলাই প্রস্তুতি সভা হল। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর পৌরসভার পৌরপিতা শক্তি রায়চৌধুরী,বারুইপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দাস সহ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ও কর্মীরা।
এই সভাতে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাই তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন একুশে জুলাই আমাদের কাছে এমন একটা দিন যেটা এ বছর শ্রদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করব। একুশে জুলাই উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবাংলা অনেকটাই ভিসার লাভ করেছে।
সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন আগামী বছরে একুশে জুলাই হবে অন্যভাবে। ২০২৪ এ লোকসভা ভোটে বিজেপি সরকার পরিবর্তন হবে সেই পরিবর্তনের সরকারে আমরা যাতে সামিল হতে পারি।
পৌর প্রধান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন ১৯৯৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৮ বছর উর্ধ্বে ভোটারদের আইডেন্টিটি কার্ড করার যে আন্দোলন করেছিল একুশে জুলাই তার কিছুটা বর্ণনা করেন। সেই সময় জ্যোতি বসুর সরকার এই আন্দোলনকারী কে ধর্মতলায় রক্তাক্ত করেছিল ১৩ জনের কংগ্রেস কর্মী প্রাণ গিয়েছিল।
যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে গৌতম দাস বলেন বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের যে দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা জিতেছে তারা যেন পণ্য বিধানসভার কোন কর্মী বা নেতার কথা না শুনে তাহলে কিন্তু পশ্চিম বিধানসভার তার শাস্তি হবে। তুমি আরো বলেন এখন যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচনটি হাইকোর্টের জুডিশিয়াল ম্যাটার তাই এখন কোন পঞ্চায়েতে ভোট গঠন হবে না। যখন বোর্ড গঠন হবে প্রধান উপাদান গঠন হবে তখন দল যেটা বলবে সেটাই মেনে নিতে হবে। এখানে কোন মানুষেরে রেককমেন্ট চলবে না। একুশে জুলাই এর উপলক্ষে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সভাপতি কে নির্ধারণ তারা যেন নিজেদের এলাকায় ছোট ছোট সভা করে। প্রয়োজনে সেই সভাতে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যাবে।