পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া রেল ক্রসিংয়ে অবিলম্বে ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং তা না হওয়া পর্যন্ত রেললাইনের উত্তরদিকে লাইন বরাবর তমলুক পুল(বালিডাংরী)পর্যন্ত বিকল্প লিংক রোড তৈরি, কনকপুরে টিকিট কাউন্টার চালু সহ একাধিক দাবীতে আজ রেল দপ্তরের পাঁশকুড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের নিকট গণডেপুটেশন কর্মসূচিতে সামিল হন নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ, পাঁশকুড়া শাখার নেতৃত্বে দুই শতাধিক নাগরিক।
গত ২৬ মে এই দাবিগুলি নিয়ে নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। আজকের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ, পাঁশকুড়া শাখার সভাপতি দেবদুলাল ঘোড়াই,যুগ্ম সম্পাদক তপন নায়ক,শহীদ খাঁন ও ফিরোজ খাঁন, সুনীল জানা প্রমুখ।
মঞ্চের অভিযোগ, পাঁশকুড়া রেল ক্রসিংয়ে গেট একবার বন্ধ হলে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা খোলে না। স্টেশনে নিত্যপ্রয়োজনে আসা মানুষজন, ঘাটাল রুটের বাসযাত্রী থেকে পীতপুর হাসপাতালে যাওয়ার রোগী সবাইকে দীর্ঘসময় গেটে আটকে থাকতে হয়। দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষের দাবি, রেলগেটে ফ্লাইওভার নির্মাণের। তাছাড়া কনকপুর এলাকায় কোন টিকিট কাউন্টার না থাকায় ঘাটাল মহকুমার ট্রেন যাত্রীদের বিপদের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পেরিয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে যেতে হয়। কনকপুর থেকে স্টেশন পর্যন্ত ফুট ওভার ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হলেও কোন অজানা কারণে বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কোন ড্রেন না থাকায় বর্ষায় ওই রাস্তায় প্রায়ই জল জমে থাকে। জল পেরিয়ে নিত্য যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। বহু গুরুত্বপূর্ন দূরপাল্লার ট্রেন জংশন স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও পাঁশকুড়ায় দাঁড়ায় না। ফলে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এই অবস্থায় আন্দোলনে নামে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ, পাঁশকুড়ায় শাখা।
মঞ্চের পাঁশকুড়া শাখার যুগ্ম সম্পাদক তপন নায়ক ও শহীদ খাঁন বলেন, আমাদের দাবীগুলি পূরনে দ্রুত কাজ শুরু না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে হব।’