Select Language

[gtranslate]
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ মঙ্গলবার ( ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ )

আবারও খাদিকুলে বিপুল পরিমাণ বোমা ও বারুদ উদ্ধার

বছর ঘুরতেই আবার ও খাদিকুলে বিপুল পরিমাণ বোমা ও বারুদ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হল। শনিবার সাত সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার  এগরা ১ ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুলে জঙ্গলের মধ্যে হাঁড়ি ভর্তি বোমা ও ব্যাগ ভর্তি বারুদ দেখতে পায় স্থানীয় মানুষজন। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতকারীরা এই বোমা ও বারুদ মজুদ করেছে এবং  ভোটের কাজে ব্যবহারের জন্য মজুত করেছে।ঘটনা  জানাজানি হতেই এগরা থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জল ঢেলে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে চাইলে বাধা দেয়  এলাকাবাসী। দাবি তোলে এনআইএ তদন্তের। দাবি করা হয় বম্ব স্কয়ারের আধিকারিকরা এসে এই বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করুক। উল্লেখ্য শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর  জনসভা ছিল মোহনপুরে। সেই জনসভায় যোগদানের জন্য বিপুল সংখ্যক  লোকজনের যাওয়ার কথা ছিল সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনদের ভয় দেখানোর জন্য এই বোমা মজুত করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতকারীরা। শুধু তাই নয় তৃণমূলের দুস্কৃতকারীরা নির্বাচনের সময় এইগুলির সদ্ব্যবহার করর জন্য রেখেছিল। সব মিলিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ। সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুষ্পারাণি সাউ মাইতি এর অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতরকারীরা এই বোমা মজুত করেছে। শুধু তাই নয় শুভেন্দু বাবুর জনসভায় যেতে না দেওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে। তিনি অনুরোধ করেছেন এলাকাকে যেকোনোভাবে শান্ত করা হোক। এই পরিবেশে স্থানীয় মানুষজন বসবাস করতে পারছেনা। এই অবস্থায় তিনি  পঞ্চায়েত পরিচালনা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন সে দাবিও করেন। তিনি বলেন ২০২৩ সালের ১৬ই মে খাদিকুল গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ভানু বাগ সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ ভানু বাগ এর ছেলে ও বৌমা গ্রেপ্তার হয়েছিল।  বর্তমান তারা জামিনে মুক্ত আছে।  স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল কুমার মাইতি বলেন খবর জানাজানি হতেই সন্তোষ মাইতি, সুনীল মাইতি সহ একাধিক ব্যক্তি বোমার ব্যাগ ও ভাগ্নেয়াস্ত্র  নিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ সুনীল মাইতি ব্যাগ নিয়ে যেতে অসমর্থ্য হতেই রাস্তায় ব্যাগটি ফেলে দিয়ে যায়। নির্মল বাবুর অভিযোগ সকলেই উড়িষ্যার দিকে পালিয়ে গেছে। পুলিশের ভূমিকার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন তিনি ও এলাকাবাসী ।

এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন এলাকার একাধিক মানুষ। এলাকাবাসীর মধ্যে মনোরঞ্জন মাইতি, মিলন শীট সহ একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোট করাতে চাইছে। উল্লেখ্য এই পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন নেতা কর্মী যুক্ত  নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এই ঘটনা সম্পূর্ণ সাজেসিক। বিজেপির লোকেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রী কে পাওয়া যাবে।

Related News

Also Read