প্রদীপ কুমার সিংহ
মঙ্গলবার সাত সকালে অটো ও মারুতি ভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে গুরুতর আহত ৬ ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার অন্তর্গত কুমোরহাট চাঁদোখালি এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল ছয়টা নাগাদ চরন থেকে একটি অটো করে পাঁচজন যাত্রী ও ড্রাইভার ৬ জন আসছিলেন বারুইপুরের দিকে, বারুইপুর দিক থেকে একটি মারুতি চারচাকা গাড়ি চরণের দিকে যাচ্ছিল। কুমোরহাট চাঁদোখালি এলাকায় মারুতি গাড়িটি স্প্রিড বেশি ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় হঠাৎ রাস্তার ডান দিকে চলে যাওয়ায় উল্টো দিক থেকে বেশি স্পিডে আসা একটি অটোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে করে অটোর ৬ জন গুরুতর আহত হয়। অটোটি রাস্তার পাশে জঙ্গলে উল্টে যায়। অটো টি ভেঙ্গে চুরের দুমড়ে যায়। মারুতি গাড়িটির সামনের দিকে ভেঙেচুরে যায়।যার ফলে গুরুতর আঘাত লাগে ড্রাইভার সহ যাত্রীদের।স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি আহত ব্যক্তিদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের সবাইকে চিকিৎসা করার পর দুজনকে স্থানান্তরিত করে কলকাতা সরকারি হাসপাতালে। দুজনকে ছেড়ে দেয় প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর।
২ জন বারুইপুর হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের নাম সুভাষ মন্ডল(৩৮) ড্রাইভার, নাজিম উদ্দিন ঘরামি (৩৮) সুরাইয়া বিবি (৪০) সম্রাট চক্রবর্তী (৩২) রাজু মোল্লা (৪৯) সুশান্ত কর্মকার(৩৩)। সম্রাট চক্রবর্তী ও নাজিমুদ্দিন ঘরামিকে কলকাতা সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। মারুতি গাড়ি ও অটো মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে অটো গাড়িটি রাস্তার পাশে জঙ্গলে পড়ে যায়।বারুইপুর থানা খবর দিলে বারুইপুর থানা পুলিশ গিয়ে মারুতি গাড়িটি ও অটোটিকে ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাজু মোল্লা ও সুরাইয়া বিবি বারুইপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছিল।
এদের বাড়ির চরণ অঞ্চলে। নাজিমউদ্দিন ঘরামি বাড়ির জয়নগর থানা এলাকায় সে চরণ থেকে অটো ধরেছিল বারুইপুরে এসে ট্রেন ধরবে বলে। সে কলকাতা একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মরত। তার দুটি পা ভেঙে যায় মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। সুরাইয়া বিবির কোমরে , পিঠে, বুকে ও রাজু মোল্লা মাথায়, ঘাড়ে, পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। এরা বারুইপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর ওই মারুতিতে গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া আরো কয়েকজন ছিল। ড্রাইভার সহ সবাই পলাতক। তাদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।