গত ৪দিন আগে এগরা ১ নম্বর ব্লকের জেড়থা ন এলাকায় সোনার দোকান করে কোটি কোটি টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী যুবক দোকানে চেন তালা লাগিয়ে উধাও হয়ে যায় ।এগরা থানায় প্রতারিত গ্রাহক মির্জাপুর আমদই গ্রামের আপ্তার খাঁন থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।অভিযোগের ভিত্তিতে এগরা থানার আইসি অরুন খাঁর নেতৃত্বে পুলিশের টিম তদন্তে নামে।

তদন্ত অফিসার এস আই সাহাবুদ্দিন আলী খান সহ পুলিশের টিম চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন প্রতারক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সাত্তার শেখের খোঁজে।আর তাতেই সাফল্য আসে গতকাল রাতে হুগলির ভগবতীপুর থেকে প্রতারিত স্বর্ণ ব্যাবসায়ী যুবক সাত্তার শেখ পুলিশের জালে গ্রেপ্তার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জেড়থান এলাকার প্রতারিত হয়েছে সেরাজুল খাঁন ও তনুজা বিবি, সারদা ব আমরাবন্ধু সানজিদা খাতুন সহ অন্যান্যরা।মহিলারা জানান ওই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর বিশ্বাস অর্জন করে বিপুল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণা করেছে ।আমরা এখন গয়না সহ এডভান্স টাকা কি করে ফেরৎ পাবো? প্রতারক সাত্তার শেখ গত ৪ বছর ধরে জেড়থান এলাকায় একটি ভাড়ার দোকানে ব্যবসা চালাতেন। নিজে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতো মির্জাপুর আমদেই গ্রামে।দোকানের নাম মুসকান জুয়েলার্স।

তিনি এলাকার বহু গ্রাহকের কাছ থেকে ফন্দি এঁটে পুরোনো সোনা নিয়ে নতুন গয়না তৈরি করে দেওয়ার নাম করে এবং নগদ টাকা অ্যাডভান্স নিয়ে সোনার গয়না বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করে।তবে বেশির ভাগ আমদই গ্রাম ও জেড়থান গ্রামের মহিলারাই সর্বশান্ত হয়েছেন। সাধারণ সরল গ্রামের মানুষদের সোনা ও টাকা মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো খোয়া গেছে বলে অনুমান করছেন প্রতারিত গ্রাহকরা।এগরা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া স্বর্ণ ব্যাবসায়ী যুবক সাত্তার শেখকে আজ কাঁথি আদালতে পেশ করেন।
পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।





