তমলুক মহকুমার সোয়াদিঘী ও গঙ্গাখালি খাল সংস্কারের কাজে শ্লথ গতি এবং নানা ধরনের বিপত্তির বিষয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটি ও সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির পক্ষ থেকে জেলা শাসক, সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিক এর নিকট অভিযোগ জানানো হয়েছিল।সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ জেলা শাসক,মহকুমা শাসক,শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বি ডি ও,সেচ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সোয়াদিঘী,গঙ্গাখালি খাল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় দেখেন,গঙ্গাখালি খালের ভেতর একটি অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে,সেই পরিপ্রেক্ষিতে উনি সেচ দপ্তরের এস ডি ও কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও যারা খাল সংস্কারের কাজে বাধা দেবে,তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনতঃ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন জেলা শাসক।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,২২ কি.মি. দীর্ঘ সোয়াদিঘী খাল সংস্কারের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছিল WBMDTCL কর্তৃপক্ষ গত আগষ্ট মাসে। পাঁশকুড়ার কংসাবতীর নদীবাঁধ ভেঙে বন্যার জল ওই খাল দিয়ে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বের হওয়ায় জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ খাল সংস্কারের কাজ শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাখর্দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয়। শুরুতেই খালের ভেতরে থাকা অবৈধ কাঠামো না সরানোয় ও বনসৃজনের গাছ না কাটার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ দিন কাজ বন্ধ ছিল। এরপর জেলা প্রশাসন এক উচ্চপর্যায়ের মিটিংয়ে ওই ব্যাপারে সদর্থক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় খালের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ডব্লিউবিএমডিসিএল কর্তৃপক্ষ পোর্টাল চালু করতে দেরী করায় খাল সংস্কারের কাজ ব্যাহত হয়।
সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বেরা বলেন,ওই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগামী বর্ষার পূর্বে সেচ দপ্তরের কার্টিং চার্ট অনুসারে বেশি সংখ্যক মেসিন নামিয়ে দ্রুত খাল সংস্কারের দাবী জেলা আধিকারিকদের জানিয়েছিলাম। সে কারণে আজ জেলা আধিকারিকেরা খাল এলাকা পরিদর্শনে আসেন।
