সুপারি বোঝাই চারটি ট্রলার জলপথে এসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লক এর পেটুয়াঘাটে এসে দাঁড়ায় শুক্রবার রাতে।সুপারি বস্তা গুলো নামিয়ে গোডাউন যত করার সময় স্থানীয় মানুষজনের নজরে আসে। তখনই তারা সুপারি বোঝাই চারটি ট্রলারকে আটক করে। জুনপুট উপকূলীয় থানায় খবর দিলে থানার ওসি বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এসে সুপারি বোঝাই ট্রলারগুলো কে আটক করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে চারটি ট্রলারে ৩৯ বস্তা সুপারি এসেছিল। আটক করা হয়েছে এই সুপারি গুলো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এই মালগুলো রসুলপুরের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল সৃষ্টি হয় ।পেটুয়ার দেশপ্রাণ মৎস্যবন্দরের এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন মৎস্য বন্দর থেকে যে সমস্ত ট্রলার আসা-যাওয়া করে সেগুলোর তথ্য থাকে। কিন্তু পেটুয়াঘাটে ট্রলার আসা যাওয়ার খবর বা নজরদারি করা সম্ভব হয় না। এই সুপারি গুলো কোথা থেকে এসেছিল এবং কোথায় যাবে তার কোন বৃত্তান্ত জানা যায়নি।
তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জুনপুট উপকূলীয় থানা সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয়দের অনুমান মালগুলি বাংলাদেশ থেকে আসে এবং এরাজ্যে পাচার হয়। জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক জানিয়েছেন বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে। এই বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। স্থানীয় এলাকাবাসির মত এভাবে বহু জিনিসপত্র উপকূল রক্ষির নজরএড়িয়ে জলপথে পাচার হয।এই জল পথে চোরা কারবারিরা সক্রিয়। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সুপারি এবং ৪টি ট্রলার আটক করা গেলেও কোন ব্যক্তিকে আটক করা যায়নি। তবে ট্রলার গুলি কাদের। সেই মালিকের সন্ধান চলছে। ট্রলার মালিকের হদিস পাওয়া গেলে অনেকটাই তথ্য পরিষ্কার হয়ে যাবে।