পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে নন্দীগ্রামের দৃষ্টিকোণ হলে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এই সম্মেলনের সূচনা করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্র।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রাক্তন সাংসদ ডঃ লক্ষ্মণ শেঠ। সভায় সভাপতিত্ব করেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লক কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি সেক আসরাফুলতুল্লা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জেলা কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির বারিদবরন মহান্তি, জেলা কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সহ সভাপতি প্রনব দাস, হলদিয়া মহকুমা কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক অশোক গুড়িয়া, জেলা কংগ্রেস তপশীল জাতি দপ্তরের চেয়ারম্যান সুকোমল শেঠ, মাইনরিটি দপ্তরের চেয়ারম্যান আমজাদ আলী।
নন্দীগ্রামের নেতা জনাব আবদুল হাই, শান্তনু দাস, ওয়াসিম আক্রম, সেখ আকতার, সেক মুসিয়ার রহমান, প্রসেনজিৎ সাঁতরা, অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতিগন ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।
ব্লক নেতৃত্বের মধ্যে অঞ্চল ভিত্তিক, অঞ্চল নেতৃত্বের মধ্যে বুথ ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।
প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে আগামী ১৫ জুন শহীদ মিনারে জনসভা সফল করার আহ্বান জানানো হয়। মানস বাবু বলেন, রাজ্যে কোনো নূতন শিল্প হয়নি। বেকারদের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেওয়া হলো। নিয়োগ দুর্নীতি একটা নূতন মাত্রা দিয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের নীতিহীনতার জন্য বেকারত্বের হার বেড়েছে, ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বেড়েছে, ডলারের দাম বেড়েছে। আয়ের বৈষম্য সর্বাধিক। ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প ও স্টেট ব্যাঙ্কের জমায় সুদ কমার ফলে আয় কমেছে। চাষিদের আয় কমেছে।কৃষি অর্থনীতিতে ধস নেমেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেন স্বৈরতান্ত্রিক সম্রাট, নোট বাতিল, জিএসটি সবেতেই তাঁর একতরফা সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে দিশাহীন করেছে। কালো টাকা উদ্ধার, ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স’, সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সব স্লোগানই মিথ্যে প্রমাণিত। তাইতৃণমূলের দুর্নীতি এবং বিজেপির স্বৈরতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষ মূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।