মাছ ধরতে গিয়ে পাকিস্তানের জলপুলিশের হাতে আটক। তারপর দীর্ঘ দেড় বছরের বন্দিদশা। শেষ পর্যন্ত আর লড়াইয়ের ফল পেলেন না ভারতীয় মৎস্যজীবী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পাইকবার গ্রামের বাসিন্দা স্বপন রানা।

অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বহু প্রতীক্ষার পর গত ৪ তারিখ দেশে ফেরে তাঁর মৃতদেহ। রবিবার সকালে পরিবারের সম্মতিতে সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য কাঁথি শহরের খড়্গচন্ডী মহাশ্মশানে। পরিবারকে যেন কোনও ধাক্কা একা সামলাতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই মৃতদেহ আনা থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সহযোগিতা করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। শেষকৃত্য সম্পন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি মহকুমা শাসক প্রতীক অশোক ধুমাল, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান আমিন সোহেল, কাঁথি ১ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিতাভ বিশ্বাস, কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দান।পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসন পাশে থাকার ফলে শেষ বিদায়ের পথটি অনেকটাই সহজ হয়েছে।

স্থানীয়দের কথায়,সীমান্তবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবন কতটা অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ, স্বপন রানার মৃত্যু সেই বাস্তবতাকেই আরও একবার স্পষ্ট করে দিল।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিবারের পাশে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি তথা কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আমিন সোহেল। তিনি মৃত মৎস্যজীবীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। পাশাপাশি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একইভাবে অসহায় পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।





