এসআইআর কান্ডে রএবার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যার মৃত্যুর খবরে ছড়ালো চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর ফর্ম সংক্রান্ত জটিলতার জন্য প্রবল মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পূর্ব আমতলিয়ার বাসিন্দা ছিলেন সুষমারানি মণ্ডল।তিনি তৃনমূলের প্রতীকে ১০ বছরের পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে এসআইআর-এর ফর্ম এলে সুষমারানির নামের সঙ্গে কিউআর কোড মিলছিলো না। এই কারিগরি বিভ্রাট তাঁকে গভীরভাবে আতঙ্কিত করে তোলে বলে খবর।কিউআর কোড সংক্রান্ত সমস্যা এবং নাম বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরেই তিনি মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন বলে পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন।
মৃতার স্বামী প্রসূণ মণ্ডল বলেন গত ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে অথচ কিউ আর কোড কেন ম্যাচ হবেনা সেই প্রশ্ন কুরকুরে খাচ্ছিলো তার স্ত্রীকে।মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতো তাকে কি বাঙ্গলাদেশ পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্র সরকার।মৃতার স্বামী জানান সুষমা দেবী নানা জন,নানা ভাবে আশ্বস্ত করলেও আতংক মন থেকে যাচ্ছিলো না।স্বামী অভিযোগ করেন, সম্ভবত সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী।বাড়ির লোকেরা তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তৃনমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক তরুণ জানা বলেন, দশ বছর পঞ্চায়েতের সদস্যা ছিলেন সুষমারানী। উনি খুব কাজের। ইদানিং ফর্মে মিসম্যাচ হতেই খুব চিন্তিত ছিলেন। কাউকে কাউকে প্রশ্ন করেছেন আমাকে বাংলাদেশ চলে যেতে হবে। এই সব ভয়ে হঠাৎ স্ট্রোক হয়ে মারা যান।





