পাঁশকুড়ার সরকারী ফুলবাজার পরিদর্শনে আজ দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক আসেন। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক দিব্যা মরুগেশন,পাঁশকুড়া ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার ,আহ্বায়ক জেলা উদ্দ্যানপালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক অতনু গুপ্ত ,সদস্য সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, বি ডি ও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি,পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রমুখ। জেলা শাসক পূর্নেন্দু মাজী অতি সত্বর বন্ধ থাকা পাঁশকুড়া ফুলবাজারের হিমঘরটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন এবং রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির আধিকারিককে কালকেই এস্টিমেট জমা দিতে বলেন। এছাড়াও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানে একটি ইনভার্টার পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যানকে দিতে বলেন। সাথে সাথে উনি সাত দিনের মধ্যে ২০ টি ইমারজেন্সী ল্যাম্প লাগানোর বন্দোবস্ত করবেন বলে জানান। নীলাম কেন্দ্র থেকে উভয়দিকের পিচ রাস্তা পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা এবং বাজারের জঞ্জাল পরিষ্কারের নির্দেশ দেন বিডিওকে। এছাড়াও একটি মহিলা শৌচাগার সহ বর্তমান পুরুষ শৌচাগারটি সংস্কার সরকারিভাবে করে দেওয়া হবে বলে উনি কথা দেন। পাশাপাশি লকডাউনের সময় চুরি যাওয়া হিমঘরের মেশিনের যন্ত্রাংশ সাথে যুক্ত চোরেদের অবিলম্বে ধরতে পাঁশকুড়া থানার আধিকারিককে জেলা শাসক নির্দেশ দেন।
নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ২০০১ সালে জেলার ফুলচাষীদের আন্দোলনের ফলে তৎকালীন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাজারটি চালুর জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৪ সালে সেই সময়কার বিভাগীয় মন্ত্রী শৈলেন সরকার বাজারটি উদ্বোধন করেন। এর কয়েক বছর পর বাজারটি নানা কারনে কার্যত বন্ধ হওয়ার সম্মুখীন হলে ২০১২ সালে ফের বাজারটি নবরূপে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। হিমঘর চালু হয়। ইতিমধ্যে লকডাউন পিরিয়ডে হিমঘরের বাইরের দিকের যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেলে হিমঘর বন্ধ হয়ে যায়। অবিলম্বে হিমঘর চালু সহ বাজারটি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালুর দাবিতে ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মূখ্যমন্ত্রী, বিভাগীয় দপ্তরের মন্ত্রী,আধিকারিকদের কাছে দরবার করা হয়।সেই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ জেলা শাসকের ঝটিকা সফর বলে জানা গেছে। স্বভাবতই পাঁশকুড়ার ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ীরা খুশি।