হস্তাক্ষর রত্ন ও অঙ্কন রত্ন প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জুন করল ব্রম্মময়ী আর্ট স্কুলের ৪ জন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল বহু ছাত্র-ছাত্রী। ব্রম্মময়ী আর্ট স্কুলের প্রায় ২৫ জন ছাত্রছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। রাজ্য স্তরে অঙ্কন রত্ন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করলো এগরা ২ ব্লকের পানিপারুলের বাসিন্দা দেবাশীষ হতির সুযোগ্য কন্যা দেবশ্রী হাতি। সে প্রথম ব্লক স্তরের রূপ পদক পায়।দেবশ্রী জানিয়েছে পড়াশুনার ফাঁকে ছোট থেকেই অঙ্কন প্রশিক্ষণ নিয়েছে। একাগ্রতার সঙ্গে যেমন পড়াশোনা করে পাশাপাশি অঙ্কন ও করে। এর আগে স্থানীয় এলাকায় এবং ব্লক স্তরে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্য কুড়িয়েছে। তার এই সাফল্যে বাবা দেবাশীষ হাতি মা সবিতা হাতি সহ পরিবারের লোকেরা যেমন খুশি ঠিক সেই ভাবে খুশি হয়েছে ব্রম্মময়ী আর্ট স্কুলের কর্ণধার ক্ষিতীশ জানা।এছাড়াও স্থানীয় এলাকার মানুষজন তারই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে তার সাফল্য কামনা করেছেন। অপরদিকে হস্তাক্ষর রত্ন প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করেছে পানিপারুলের বাসিন্দা শুভেন্দু সেনাপতির কন্যা সুষমা সেনাপতি। তার এই রৌপ্য পদক জয়ের জন্য খুশি হয়েছে তার বাবা শুভেন্দু সেনাপতি ও মা মনীষা সেনাপতি।সুষমা জানিয়েছে ছোট বয়স থেকে অংকন প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করেছে তার বাবা-মা। একাগ্রতার সঙ্গে অংকন করে। ভবিষ্যতে সে ভালো অংকন শিল্পী হতে চায়। ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পড়াশুনার পাশাপাশি অংকন অভ্যাস চালিয়ে যাবে।তারে জয়কে কুর্নিশ জানিয়েছে এলাকার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন। পানিপারুলের মানস পন্ডি এর কন্যা মোনালিসা পণ্ডিত অঙ্কন রত্ন প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জয় করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তার এই সাফল্যে খুশি হয়েছে বাবা মানস পন্ডিত ও মা শ্রাবণী পন্ডিত সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
তার এই সাফল্য এলাকায় সাড়া ফেলেছে।এলাকাবাসীর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মোনালিসা জানিয়েছে পড়াশুনার পাশাপাশি সে অংকন অভ্যাস চালিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে ভালো শিল্পী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তার বাবা মা জানিয়েছে মেয়ের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। একইভাবে বয়সের দিক থেকে খুদে হলেও রামনগর ২ ব্লকের বড়রাংকুয়া গ্রামের বাসিন্দা আয়ুষ ঘোড়াই আর্ট ফেস্টিভালে অংকন প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক লাভ করে নজির গড়ল। সে অঙ্কন রত্ন অন্বেষা ও হস্তাক্ষর রত্ন অন্বেষা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দুটিতেই রৌপ্য পদক অর্জন করেছে।
তার এই সাফল্যে বাবা দেবব্রত ঘোড়াই ও মা শ্রাবন্তী ঘোড়াই সহ পরিবারের অন্যান্যরা খুশি। আয়ুষ জানিয়েছে সে ভালোবাসে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, অংকন ও সাংস্কৃতিক জগতের নাটক ও আবৃত্তি। আয়ুষ ভবিষ্যতে ভালো পড়াশোনার পাশাপাশি অংকন কে ধরে রেখে ভালো শিল্পী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তার বাবা দেবব্রত ঘোড়াই জানিয়েছেন ছেলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই তাকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ব্রম্মময়ী আর্ট স্কুলের কর্ণধার তথা প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ জানা জানিয়েছে ২৫ বছর ধরে এই স্কুল নিরন্তর ভাবে পরিচালনা করেছে। করনা কালের সমস্যা ব্যাহত হলেও করনা পরবর্তীকালে সে সেই ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো শিল্পী তৈরি করার প্রয়াস চালিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন তার বিদ্যালয়ের এই সাফল্য তাকে গর্বিত করেছে। শুধু তাই নয় তার অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করেছে। তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও অভিভাবিকা বৃন্দকে। কারণ এর ক্ষেত্রে বাবা মায়ের সহযোগিতা এখন তো ভাবে প্রয়োজন।