Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

সিপিএম এবং বিজেপি ছেড়ে প্রায় শতাধিক পরিবার তৃণমূলের যোগদান করলেন

লোকসভা নির্বাচনের মুখে আবারো ভাঙ্গন বাম ও বিজেপিতে। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতলিয়, রত্নমালা ও দূরমুঠ মিলে তিনটি কর্মীসভা হয়।বেতেলিয়ার কর্মীসভায় সিপিএম এবং বিজেপি ছেড়ে প্রায় শতাধিক পরিবার তৃণমূলের যোগদান করলেন। যোগদান কারীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলের স্বাগত জানালেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক,কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডা ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বেজ। দূরমুঠ অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি শ্যামল দাসের তত্ত্বাবধানে এই যোগদান কর্মসূচি সফল হয় বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কাঁথি ৩ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নন্দদুলাল মাইতি, ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি গৌরী শংকর মিশ্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল দাস জানিয়েছেন এখনো শতাধিক বিরোধী দলের নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগদানের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত মিললেই তাদের যোগদান করানো হবে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে দূরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যায। তৃণমূলের হারানো জমিন ফিরে পেতে তৃণমূল থেকে চলে যাওয়া কর্মীদের পুনরায় দলে ফিরানোর উদ্যোগ চলছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিআইএমের গণসংগঠন ডি ওয়াই এফ আই এর জেলা নেতৃত্ব ঝাড়েশ্বর বেরা বলেন সিপিএম ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যোগদান করেনি। যতদূর খবর আছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল তারাই তৃণমূলে যোগদান করছে। এই ঘটনাকে ঘিরে সিপিআইএম চিন্তিত নয়। এই যোগদানের ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপ কুমার দাস । তিনি বলেন তৃণমূল নাটক করছে। বিজেপি ছেড়ে কোন নেতৃত্ব তৃণমূলে যায়নি। তৃণমূলের নেতৃত্ব যারা সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন না নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছিলেন তাদেরকেই ধরে ধরে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। এই কারণে আমরা কোন চিন্তিত নই এবং এতে দলের কোন ক্ষতি হবে ন। তৃণমূল যত যাই করুক না কেন তাদের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে সেই কারণে এই সমস্ত নাটক করছে।

তৃণমূলে যারা যোগদান করলেন তারা জানিয়েছেন ভুল করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এতে কারোরই কোন লাভ হয়ন। বরং উন্নয়ন পিছিয়ে গেছে। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের সাথে থেকে এলাকার উন্নয়ন করার জন্যই তৃণমূলে যোগদান করলেন।এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজ।

Related News