বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক শিষ্য তথা তৃনমূলের চেয়ারম্যান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে আরো কঠোর হল রাজ্যের শাসক দল।কাঁথি পৌরসভার ১৭ জন তৃনমূল কাউন্সিলারের মধ্যে ১৬ জন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলো।
তৃনমূলের টিকিটে ১৪ নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী কাউন্সিলার তথা কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না।ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে এক বেসরকারী অনুষ্ঠানে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন এবং তাঁকে ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল।এরপরেই তাঁকে শোকজ করেন তৃনমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব চাওয়া হলেও সুবল জবাব দেননি বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। এর পরই দলের রাজ্য নেতৃত্ব সুবলকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ পাঠান। কিন্তু সেই নির্দেশের পরও সুবল যথারীতি অফিস করছেন। তিনি ইস্তফা নিয়ে কোনও নির্দেশ পাননি বলে পাল্টা দাবি করেন।
অনাস্থা প্রসঙ্গে সুবল মান্না বলেন,দল যা করবে করুক। সে বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না। আইনে যা আছে তাই হবে।অনাস্থা নিয়ে সুবল জানান,যে দিন অনাস্থা আসবে, সে দিন দেখা যাবে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। আইনে যা আছে, তাই হবে।এরই পাশাপাশি সুবলের দাবি, তিনি ক্ষমা চেয়ে চিঠিও দিয়েছেন। সুবল বলেন,আমাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। আমি ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছি।
কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন,আমরা, তৃণমূলের ১৭ জন কাউন্সিলার দলের নির্দেশ মেনে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিলাম। কিছু কারণে বর্তমান পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা সভাপতি-সহ দলের নেতৃত্ব। তিনি সেই নির্দেশ মানেননি। ৮ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে। তিনি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে রাজি হননি। এ বার দলের নির্দেশেই আমরা ১৬ জন কাউন্সিলার আলোচনা করে পুর আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন সুবল মান্না দলের হুইপ মানেনি।তাই শুধু অনাস্থা নয়,ওকে দল থেকে বহিস্কার করা উচিত।

