Select Language

[gtranslate]
২২শে কার্তিক, ১৪৩২ শুক্রবার ( ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ )

ভাঙ্গরের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রদীপ কুমার সিংহ

 কয়েকদিন আগে ভাঙ্গরের তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খানকে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। সেই হত্যা ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে শনিবার চক মরিচা এলাকা থেকে ভাঙ্গড়ের উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম মোফাজ্জেল মোল্লা(৫০)। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ আর্মস আক্ট ২৫/২৭, ১০৩(১)/৩(৫) সহ একাধিক ধারায় মামলা করে।রবিবার উত্তর কাশিপুর থানার পক্ষ থেকে ধৃত ব্যক্তিকে বারুইপুর মহকুমা আদালতের তোলে। পুলিশ ১৪ দিনের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য মহামান্য আদালতে বিচারকের কাছে আবেদন জানান। আদালতের বিচারক ধৃত ব্যক্তিকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত ভাঙ্গর চালতা বেড়িয়া এলাকার ক্যানিং পূর্ব বিধায়ক সওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ নেতা রেজ্জাক খান গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিজয় গঞ্জ বাজার দলীয় কর্মসূচির ছেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন এমন সময় হঠাৎ চালতা বেড়িয়া বাজারের কাছে দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চড়ে সেই গুলি রেজ্জাক খানে শরীরে লাগে তাতে করে রেজ্জাক খান বাইকে করে আসছিল সে পড়ে যায় তার মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে দুষ্কৃতীরা তাকে অস্ত্রের কোম্পানির বিভিন্ন জায়গা। এলাকার বাসিন্দারা জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে রেজ্জাক কে নিয়ে হাসপাতালে যায় হাসপাতালে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই নিয়ে ভাঙ্গরে রাজনৈতিক চাপান উত্তর লেগেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙরের অবজারভার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লা অভিযোগ করেছে এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফ কর্মীরা জড়িত। আই এস এফ এর পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সোনারপুরে তৃণমূল কংগ্রেসে এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে শওকত মোল্লা বলেন পুলিশ তদন্ত করছে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে যিনি তৃণমূলের কেউ নন। এই বুঝে নেয় আইএসএফের হাত আছে।

এই ঘটনার পর ভাঙ্গরে নিরাপত্তার কারণে দেহরক্ষী দেওয়া হয় ১০ জন তৃণমূল নেতাকে।

২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ভাঙ্গরে অস্বস্তি কর পরিবেশ তৈরি হয়। বেশ কয়েক মাস ধরে এলাকায় রাজনৈতিক কর্মী কয়েকজন খুন হয়। চারিদিকে বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙ্গড় এলাকাটা কলকাতা পুলিশের আন্ডারে চলে যায়। যাতে এলাকার শান্ত থাকে তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ভাঙ্গড় বিধানসভায় আটটি থানা তৈরি করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ঘটনার পর ভাঙ্গড় আগে যে নাম ছিল এখনো সেই একই পরিস্থিতিতে আছে। যদিও মঙ্গলবার ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ভাঙ্গরে আসে এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। শেষে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মোফাজ্জল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে এবং রবিবার পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃত ব্যক্তিকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলে।

Related News

Also Read