পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লক এলাকায় গত বর্ষার জমা দূষিত জলেবন্দী এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষজন ।এর প্রতিবাদে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো জল্পলাবিতরস।
সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। অবশেষে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও অমিত কুমার গায়েন অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়ে আগামীকালকের মধ্যে মহকুমা শাসক, কোলাঘাট ব্লকের বিডিও, সেচ দপ্তরের এস ডি ও কে নিয়ে বৈঠক করে জমা জল দ্রুত বের করার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
অভিযোগ আলোচনা চলার সময়ে তমলুক থানার এক পুলিশ অতর্কিতে অবরোধকারীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করলে জনসাধারন রুখে দাঁড়ায়। পরে অবশ্য ওই পুলিশ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। লাঠিচার্জে আহত হয় জন্মেজয় মান্না নামে এক অবরোধকারী। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বেরা, অশোক মাইতি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তমলুক মহকুমার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিকাশী খাল হোল-সোয়াদিঘী খাল। ২২ কিমি দীর্ঘ এই খালটি কোলাঘাট ব্লকের নারায়ন পাকুড়িয়া থেকে বেরিয়ে ভোগপুর ও দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হয়ে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সোয়াদিঘীতে পড়েছে। খালটি দিয়ে প্রায় শতাধিক মৌজার নিকাশী জল রূপনারায়নে বের হয়। খালটি যেখানে রূপনারায়নে পড়েছে, বছর কয়েক পূর্বে সেখানে নদীর ভেতরে বেআইনী মাছের ঝিল তৈরী হয়েছে। এহেন গুরুত্বপূর্ন খালটি দীর্ঘদিন পূর্ণ সংস্কার না হওয়ায় সাম্প্রতিক নিম্নচাপজনিত বর্ষনে পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার সহ কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক,ভোগপুর,সাগরবাড় এবং শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ফলস্বরূপ এলাকার আমনধান-ফুল-পানবরোজ-সব্জী-মাছচাষ ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বর্তমানে ওই জমা জল দূষিত হয়ে গ্রামগুলিতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

