অবৈধ সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো দেওর অসিত প্রতিহার ।তাই তাকে প্রেমিকের বাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে খুন করে হলদিয়াগামী ৪১ নং জাতীয় সড়কের ধারে নয়নজলির ধারে মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো
তার বিধবা বৌদি বিরুদ্ধে।এই কাজে সেই মহিলা তার প্রেমিকের সাহায্য নিয়েছিলো।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার খঞ্চির।এই বিধবা মহিলার শ্বশুর বাড়ি বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়।
জানা গেছে সারেঙ্গা থানার মাকড়কোল গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু প্রতিহারের স্ত্রী গোলাপ।দশ বছর আগে পিন্টুর মৃত্যু হয়।তার পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই বাকী সদস্যদের সাথে থাকলেও বেশির ভাগ সময়ে বাপের বাড়িতে থাকতো এই বিধবা মহিলা।গোলাপের বাপের বাড়ি সারেঙ্গা থানার চিংড়া গ্রামে এই মহিলার প্রেমিকের নাম গোপালচন্দ্র জানা।গোপালের আদি বাড়ি খঞ্চিতে হলেও সে বর্তমানে গড়বেতা-২ ব্লকের আমলাশোলে পরিবার নিয়ে থাকে।সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোলাপের সাথে পরিচয় হয়ে যায় গোপালচন্দ্র জানার । গোলাপের মাকে ধরম মা পাতিয়ে অবাধে বাড়িতে আসা যাওয়া করত গোপাল। সেই সুবাদে গোপাল ও গোলাপের
মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।আর সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে গিয়েছিলো দেওর অসিত।
অভিযোগ তাই এই যুবককে সারা জীবনের জন্যে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় তার বৌদি গোলাপ।সেই পরিকল্পনা মত গত ৫ আগস্ট গোলাপ অসিতকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যায়। তারপর থেকে অসিতের কোনও খোঁজ ছিল না। ১৩ সেপ্টেম্বর গোলাপ বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যায়। কিন্তু তার অসিত না থাকায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। বারবার জিজ্ঞাসাবাদে
গোলাপ এক এক বার ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দেওয়ায়
১৭ সেপ্টেম্বর অসিতের খুড়তুতো ভাই স্বপন প্রতিহার সারেঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, গত ৬ আগস্ট অসিতকে নিয়ে ধৃত দু’জন নন্দকুমারের খঞ্চিতে যায়। সেখানে গোপাল জানার বাড়িতে অনুষ্ঠান আছে বলে অসিতকে ভুল বুঝিয়ে আনা হয়।
সম্ভবত ওই দিন রাতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নিয়ে গিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় অসিতকে। দেহটি নয়ানজুলিতে ফেলে দিয়ে দু’জনে বাড়ি ফেরে।পুলিশ অভিযুক্তদের চাপ দিতেই
তারা খুনের কথা কবুল করে।তারপরেই বুধবার
গোলাপ এবং তার প্রেমিক গোপালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ যৌথ ভাবে ঘটনার তদন্তে নেমেছ।এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই তদন্ত চলছে। নন্দকুমার থানার ওসি সৌরভ চিন্না বলেন,
সারেঙ্গা থানার পুলিস ধৃত দু’জনকে নিয়ে এসেছে। বাঁকুড়ার ম্যাজিস্ট্রেটও থাকছেন। তাঁর উপস্থিতিতে দেহ খোঁজা হচ্ছে