পঞ্চায়েতের টিকিট বন্টন নিয়ে ক্ষোভ! দুটি পদ থেকে ইস্তফা, বিধায়ক পদও ছাড়তে চান বলে সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
হুগলি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দলীয় পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন
বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দুটি পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষনা করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও পঞ্চায়েতের
টিকিট বন্টন নিয়ে ক্ষোভের জেরেই এই পদত্যাগ বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।
বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , বিজেপি সিপিএম সবার সাথে লড়াই করব কিন্তু নিজের দলের লোকের সাথে আর লড়াই করতে চাই না। আমাদেরও দলীয় প্রতীক
দিয়েছে ওদেরও দলীয় প্রতীক দিয়েছে। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম তালিকায় কখন নাম আসবে সেই নাম গুলি নমিনেশন করব । নবীন গাঙ্গুলী সবকটি আসনে নমিনেশন করেছে।
তালিকায় নাম আসার পরেই আমরা সেই নাম নমিনেশন করাই। এরপর দল নবীন ও আমাদেরকেও প্রতীক দিয়েছে দল। যেহেতু আমরা পরে নমিনেশন দিয়েছি তাই তাদের গুলো গ্রাহ্য
হয়েছে।এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বিধায়ক বলেন সিম্বল পান দোকান থেকে বিক্রি করা হয়েছে।
আমার বিধানসভায় যারা আমার হয়ে লড়াই করেছে তাদের সব নাম কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছে। সেখানে নবীনের দলের লোকেদের প্রার্থী করা হয়েছে।
মগরা ব্লকে আমাকে একটিও টিকিট দেওয়া হয়নি, অনেক লড়াই করে হোয়েড়া দিগসুইয়ে কয়েকটা আসন বার করতে পেরেছি। চন্দ্রহাটি, মগড়াতে কয়েকটি আসন পেয়েছি যেন মনে
হচ্ছে ভিক্ষা দিচ্ছে। অনেকবার উচ্চ নেতৃত্ব কে জানিও কিছু হয়নি। আমাদের শুধু সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব এর সঙ্গে সম্পূর্ণ যুক্ত রয়েছে। আমি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম তার কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম। আমাকে সেই সময়ও দেওয়া হয়নি।
সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে বিধায়ক লেখেন , বিধায়ক পথ থেকেও বিস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল ।কিন্তু যেহেতু আমি একটি চাকরি করতাম নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য সেটি ছাড়তে হয়েছিল । দু বছরের অধিক
সময় হয়ে গেল ৫০ বার ছোটাছুটি করেও যার পেনশন ও গ্যাচুইটির কিছুই পাইনি তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারছি না। তাহলে খাবো কি? যেদিন পেনশন পেতে আরম্ভ
করব এই পদ থেকেও সরে দাঁড়াবো ।বলাগড়ের তেরোটি পঞ্চায়েত ও তার বিধানসভার মগড়ায় ৪টি পঞ্চায়েত রয়েছে। সবকটিতে বিরোধীরা জিতবে। তার কারণ দলের অন্তর কলহ।
বলাগড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নবীন গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে মূলত তার অভিযোগ, সে টাকা নিয়ে টিকিট বন্টন করেছেন। বিধায়কের পক্ষ থেকে যে টিকিট দেবার কথা ছিল
সেই টিকিট দেওয়া হয়নি।
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন,আমরা ওনার লেখা চিঠি কিছু পাইনি,ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন
,দল কে লিখিত কিছু জানাননি।কি কারনে ইস্তফা দিচ্ছেন,জানা নেই।সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন দায়িত্ব আছে দল কে জেতানোর, হয়তো অন্য কোন চাপ না রেখে বিধায়ক পদ টা রেখে দলের
কাজ করে দল কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।আমাকে ইস্তফা পত্র দিলে আমি দল কে সেটা পাঠিয়ে দেবো।দল একটা নিয়মে চলে,ওনারো উচিৎ দলের নিয়ম মেনে চলা।
