নয়নজলি বুজিয়ে চলছে পাকা ঘর নির্মানের কাজ।এলাকাবাসীর প্রতিবাদ এবং মহকুমা শাসকের নির্মান ভাঙ্গার নির্দেশের পরেও রমরমিয়ে চলছে নয়নজলিতে নির্মান কাজ।এর ফলে চার-পাঁচটা গ্রামের নিকাষি ব্যাবস্থার বেহাল দশা।বর্ষা নামলেই গ্রাম গুলি জল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামলো এলাকাবাসী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠের সামনে নয়ঞ্জলি বুজিয়ে চলছে নির্মান কাজ।এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৯.৩০ মিনিট থেকে প্রায় ১ ঘন্টা পথ অবরোধ কর্মসূচি হয় ।
আন্দোলনকারীরা বলেন তাঁফের দুটি দাবী। আন্দোলনকারীদের প্রথম দাবী সরকারি সর্বসাধারণের নয়নজুলি উপর নির্মিয়মান পাকা বাড়ি ভাঙ্গা।আর দ্বিতীয় দাবী অবৈধ নির্মাণকারী পলয় মিত্র কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
জানা গেছে এই অবরোধ চলাকালিন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কনভয় আটকে পড়ে ।তিনি অবরোধকারী নেতাদের সংগে কথা বলেন কথা শুনার পরে এই আন্দোলনকে সর্মথন করে অবরোধ না ভেঁঙ্গে অন্য দিক দিয়ে কনভয় ঘুরিয়ে চলে জান।
প্রসংগত উল্লেখ থাকে মহকুমা শাসকের ভাঙ্গার লিখিত নির্দেশ থাকা স্বত্বেও রাতের অন্ধকারে কাজ চলছে। এই জলনিকাশ দিয়ে ৭ মৌজার জল করকুলি, কিশোরনগর, পদ্মপুখুরিয়া,কনকপুর তেঘরী,ধর্মদাশবাড়,বেনামুড়ি জল নয়নজুলি দিয়ে কাঁথির মুল কানেলে পড়ে। অবরোধ চলাকালীন পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হন, অবরোধকারীদের সংগে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন মহকুমা শাসকের যে অর্ডার কপি আছে তার মূলে আগামি শনিবারের মধ্যে ওই অবৈধ্য নির্মার ভেঁঙ্গে দেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাবার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
অবরোধে নেতৃত্ব দেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দোলাই, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশীল দাস, কন্টাই সুপারষ্টার ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত, বিশিষ্ট শিক্ষক দীপক প্রধান, প্রাক্তন শিক্ষক বিপুল রঞ্জন মির্দা, প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী মনোরঞ্জন সিং,গনেশ পাত্র, কিশোর কল্যান সংঘের সম্পাদক অরিন্দম প্রধান, রাজীব ক্লাবের সম্পাদক নিতু দেব।
