প্রদীপ কুমার সিংহ :- ধারের টাকা চাওয়ায় ছেলে চেলা কাঠ দিয়ে মায়ের মাথা ফাটিয়ে দিল। মা গুরুতর অসুস্থ। আক্রান্ত মহিলার নাম সুচিত্রা সদ্দার। সুচিত্রা দেবীর এই অবস্থা দেখে তার বোন সুমিত্রা সরদার ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে ছেলে। ছেলের নাম কমল সরদার। সুচিত্রা দেবী সাংবাদিককে জানান তার কাছ থেকে ছেলে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা সুচিত্রা দেবী চাইতে গেলে চ্যালা কাঠ দিয়ে বেধরক মার মারে ছেলে। সুচিত্রা দেবী গুরুতর আহত হয়। সুচিত্রা দেবীর বোন সুমিত্রা দেবী বড় বোনকে বাঁচাতে আসলে তাকে ও ছেলে বেধড়ক মার মারে। নরেন্দ্রপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানায় সুচিত্রা দেবী। সুচিত্রা দেবীর স্বামী দেবদাস সর্দারকেও টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়ায় তার স্বামী ও তাকে মারধর করে। সুচিত্রাদেবী ও সুমিত্রা দেবী মারার অভিযোগে ছেলে ও স্বামীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার খুদীরাবাদ প্রণতি পল্লী এলাকায়। অভিযোগ সুচিত্রা সরদার নামে এক মহিলা পরিচারিকার কাজ করে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে একটি জায়গা কিনে সেখানে ঘর করে থাকতে শুরু করেন স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকতে শুরু করে। কিছুদিন যাওয়ার পর মার কাছে টাকার দাবি করে ছেলে, মা ছেলেকে তার কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা ধার দেয়। এরপর মা অসুস্থ হলে সেই টাকা ছেলের কাছে চাইতে গেলে চ্যালা কাঠ দিয়ে তার নিজের জন্মদাত্রী মাকে বেধড়ক মারধর করে, যার ফলে মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, তাকে বাঁচাতে গেলে তার বড় বোনকেও মারধর করে ছেলে। এখন টাকার জন্য চিকিৎসাও করাতে পারছেন না আক্রান্ত মহিলারা।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ছেলে কমল সরদার ও তার স্বামী দেবদাস সরদারের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করেন মা সুচিত্রা দেবী। অভিযোগের ভিত্তিতে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।