এগরা ২ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় রাজনৈতিক তৎপরতা। সাত দফা গুরুত্বপূর্ণ দাবি-দাওয়া নিয়ে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল পঞ্চায়েত কার্যালয়ে হাজির হয়। স্থানীয় সমস্যা, পঞ্চায়েত পরিষেবার ব্যূহভঙ্গ ও বেআইনি দখলের অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতৃত্ব পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের হাতে ডেপুটেশন জমা দেন।

বিজেপির প্রধান অভিযোগ— বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অনুরাধা পাত্র দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত পঞ্চায়েত কার্যালয়ে উপস্থিত থাকছেন না। তার অনুপস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় পরিষেবা, বিভিন্ন কাগজপত্র, প্রকল্প সংক্রান্ত সুবিধা ও সরকারি কল্যাণমূলক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, উপ-প্রধানের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ফলে গ্রামবাসীরা বারবার পঞ্চায়েতে এলেও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দাবি— ভবানীচক থেকে বাসুদেবপুর বাজার পর্যন্ত যোগাযোগ রাস্তাটির দু’ধার বেআইনি জবরদখলে ভরে উঠেছে। রাস্তার পাশে দখলদারি বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যানবাহন চলাচলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং বাজার এলাকায় অস্বস্তি বাড়ছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, “এটা শুধুই উন্নয়নের পথে বাধা নয়, জনস্বার্থের বিরুদ্ধে এক গভীর চক্রান্ত। অবিলম্বে জবরদখল মুক্ত অভিযান শুরু করতে হবে।”
ডেপুটেশন গ্রহণ করেন পঞ্চায়েতের প্রধান অরূপ মাইতি। তিনি জানান, “উঠে আসা বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। যেসব দাবি ন্যায্য, সেগুলোতে পদক্ষেপ অবশ্যই নেওয়া হবে।” তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, উপ-প্রধানের অনুপস্থিতি নিয়ে পঞ্চায়েতের ভেতরেও দীর্ঘদিন ধরে নানা অসন্তোষ জমা ছিল।
অন্যদিকে, এই গোটা ডেপুটেশন-তৎপরতাকে আক্রমণ শানিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি মানুষের সমস্যা নয়, বরং রাজনৈতিক প্রচার ও আতঙ্ক তৈরি করতেই এমন ডেপুটেশন দিচ্ছে। তৃণমূলের বক্তব্য, “বিজেপির তোলা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে তারা। উন্নয়ন আটকাতে না পেরে এভাবে রাজনৈতিক নাটক করছে।”




