Select Language

[gtranslate]
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ শনিবার ( ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ )

সুকান্তকে পাশে বসিয়েই দলের জন্য ‘অভিভাবক’ চাইলেন দিলীপ! তুমুল শোরগোল বিজেপিতে

#কলকাতা: রাজ্য বিজেপির জন্য সিনিয়র কার্যকর্তা চাই, যিনি রাজ্য বিজেপিকে ‘সামলাবেন’। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি
নাড্ডার কাছে এমনই দাবি করেছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও একজন সিনিয়র কার্যকর্তা ছিলেন। খাতায় কলমে তিনি এখনও রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তা সত্বেও, নতুন করে সিনিয়র কার্যকর্তা চাইলেন কেন দিলীপ? তাহলে কি ঘুরপথে কৈলাসকে তাঁর না-পসন্দের কথাই জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ?

রাজ্য বিজেপিতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দিলীপের অম্ল মধুর সম্পর্কের কথা সবারই জানা। কৈলাসের থাকাকালীনই এ নিয়ে চর্চা হয়েছে বিস্তর। অন্য দল বিশেষত তৃণমূল ভাঙিয়ে দেদার বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো, প্রার্থী নির্বাচন সহ নানা বিষয়ে কৈলাসের সঙ্গে দিলীপ শিবিরের মত পার্থক্য প্রকাশ্য এসেছে। একুশের নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর কৈলাসকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে দলের একাংশ যারা সরব হয়েছিল, তাদের প্রতি প্রচ্ছন্ন মদত ছিল দিলীপ শিবিরের বলে অভিযোগ করেন অনেকে। যদিও, দিলীপ ঘোষ বা তার ঘনিষ্টরা প্রকাশ্যে কখনও তা মানেননি।


এদিকে, পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল রায়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা কৈলাসের কাছে একটা বড় সেট ব্যাক। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও তিনি করছেন না। রাজ্য বিজেপিতে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী সঙ্গেও তার বিশেষ সখ্যতা নেই। ফলে, রাজ্য বিজেপিতে ফেরার বিষয়ে কৈলাসও খানিকটা নাকি নিস্পৃহ। অথচ, ২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট এবং ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্য বিজেপির এখনই প্রস্তুতি শুরু করা দরকার। সেক্ষেত্রে, রাজ্যে দলের নির্বাচনী কৌশল এবং কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। আর সেই কাজে কোন অভিজ্ঞ কেন্দ্রীয় নেতাকে এ রাজ্যে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে নিয়োগ করতে হবে কেন্দ্রকে। দিলীপ ঘনিষ্ঠদের মতে, সুযোগ পেয়েই তাই নাড্ডার কাছে কোন সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতাকে রাজ্য সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে পাঠানোর কথা পেড়ে এলেন দিলীপ। আর, এ বিষয়ে সুকান্তকে পাশে পেতে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পাশে বসেই সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষী রেখে তা জানিয়েও দিলেন দিলীপ।

আরও পড়ুন: বর্ষপূর্তিতে বড় লক্ষ্য তৃণমূলের, সব নজর নন্দীগ্রামে! বৃহস্পতিবার যা হতে চলেছে…


এখন, দিলীপের এই চালে শেষ পর্যন্ত আদৌ চিড়ে ভিজবে কি না তা কারও জানা নেই। কারণ, দিলীপ যতই বলুন, বিজেপির এখন ৩৮% ভোট রয়েছে। রাজ্যে দল তাঁরা চালিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানে, রাজ্য বিজেপিতে সবচেয়ে বড় সংকট ঐক্যের। দল গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ। নির্বাচনী সাফল্য না আসলে তা কাটবে না। আবার, নির্বাচনে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ না করতে পারলে সাফল্য আনা সম্ভব নয়। আর এখানেই বড় ফারাক।


আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের সামনে প্রচুর আয়ের সুযোগ, পর পর ৯ কোম্পানির আইপিও আসছে! জানুন…

রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলেও এই গোষ্ঠী কোন্দল আছে, অনৈক্য বহুগুণ। কিন্তু, তৃণমূলে মমতা বন্দোপাধ্যায় নামে এক নেত্রী আছেন। বিজেপিতে যা নেই। সব মতপার্থক্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামলে যিনি দলকে খাদের কিনারা থেকে জয়ের মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু বিজেপি বা অন্য কোন বিরোধীদলে তা নেই। তবে, নন্দীগ্রামে মমতাকে বেকায়দায় ফেলার পর শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় আইকন। কিন্তু, দিলীপ-মুকুল সম্পর্কের মতোই শুভেন্দু-দিলীপ সম্পর্কেও যে শৈত্য আছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বিলক্ষণ জানেন। ফলে, রাজ্য বিজেপির এই তিন মুখ সুকান্ত, শুভেন্দু ও দিলীপকে একসঙ্গে নিয়ে চলার মত বরিষ্ঠ নেতা দরকার। সেই মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চট করে পাওয়া খুব একটা সহজ নয় বলেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের শূন্য পদ পূরণ নিয়ে এত দেরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে, যাইহোক, রাজ্যে অমিত শাহের সফরের আগে সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে দিলীপ তার বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপ ঘোষ ঠিক সময় মতো বলটা গড়িয়ে দিয়েছেন। এখন সেটা কোথায় গিয়ে পড়ে সেটাই এখন দেখার।

Published by:Suman Biswas

First published:

Tags: Dilip Ghosh, Sukanta Majumdar

Source link

Related News

Also Read