দিঘার এই জগন্নাথধাম ‘বাংলার হাজার হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্যকলা’ তুলে ধরে।দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একই সাথে বলেন দিঘায় সমুদ্র রয়েছে। সমুদ্রে লোকজন বেড়াতে আসেন। এখানে একটা তীর্থস্থান হলে লোকজনকে আরও আকৃষ্ট করবে। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন।মাঙ্গলিক সানাইয়ের সুরে মুখরিত সৈকতনগরী।চারিদিকে উৎসবের মেজাজ। এরমধ্যেই সোমবার দিঘা পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দুপুরে সেখানে পৌঁছেই ঘুরে দেখেন মন্দিরচত্বর। মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।সোমবার হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চেপে দিঘার উদ্দেশে রওনা হন মমতা।মঙ্গলবার হবে বিশেষ যজ্ঞ। পরের দিন অর্থাৎ ৩০ তারিখ বুধবার রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঙ্গে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা। যা করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে চারটি কুণ্ডের মাঝে মহাকুণ্ড জ্বালিয়ে চলছে যজ্ঞ। চলছে মন্ত্রোচ্চারণ।জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী আটচালা ঘর। গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে জগন্নাথদেবের বসার পিঁড়ির পুজো। দুগ্ধস্নান সম্পন্ন হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং সুদর্শনের। লক্ষ্মী, বিমলা, সত্যভামা-সহ সমস্ত দেবদেবীর মূর্তিকেও দুগ্ধস্নান করানো হয়েছে। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইসকন থেকে ১৭ জন সাধু এসেছেন। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হবে মহাযজ্ঞে।
দিঘায় পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, এই মন্দিরের কারণে সেখানে পর্যটকের আনাগোনা আরও বৃদ্ধি পাবে।জানান, এই মন্দিরে ‘অধ্যাত্মবাদ এবং সম্প্রীতি’-র মিলন হয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্যকাজেরও প্রশংসা করেন তিনি।তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, দিঘার এই জগন্নাথধাম ‘বাংলার হাজার হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্যকলা’ তুলে ধরে। এটি একটি কৃষ্টি।