Select Language

[gtranslate]
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ শনিবার ( ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ )

।। শিশির-দিব্যেন্দুর মূল্যবোধ আছে প্রশ্ন অভিষেকের ।।

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাংসদ বাবা ও ভাইয়ের মুল্যবোধ-নৈতিকতা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু হল ।

২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বরের পরে এনাদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করে তৃনমূলীরা।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূল কর্মীদেত থেকে জুটে ছিলো বিশ্বাসঘাতকের তকমা।এবার কাঁথি ও তমলুকের জোড়াফুলের টিকিটে জেতা পিতা-পুত্র সাংসদ শিশির অধিকারী-দিব্যেন্দু অধিকারীর ন্যূনতম মূল্যবোধ  আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গেল ।আর সেই প্রশ্ন খোদ তুলে দিয়ে গেলেন তৃনমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর পর তৃতীয় বার এওক সময়ে শিশির-শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত কাঁথিতে সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।শান্তিকুঞ্জ থেকে ২০০ মিটার দুরের এই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন না কাঁথিরই সাংসদ শিশির অধিকারী। দলের তরফে ডাক পাননি শিশির-পুত্র তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুও।যদিও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই জানিয়েছেন, এটা বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণ নয়। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে ভোট চেয়েছেন, যারা জোড়া ফুলের প্রতীকে জিতেছেন তাদের রাজনৈতিক কৃতজ্ঞতা থাকলে এই সভায় যোগ দেওয়া উচিত।এবার সেই কৃতজ্ঞতা বোধ,মুল্যবোধে আক্রমন শানালেন অভিষেক।

গত ফেব্রুয়ারী মাসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দইসাইর সভার এক বক্তব্য উল্লেখ করে শুভেন্দুর উদ্দেএ অভিষেক বলেন আপনার বাবাকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি শিশির অধিকারীকে কোনও দিন অসম্মান করিনি। উপহাসের সুরে বলেন ওনাকে বয়সের জন্য শ্রদ্ধা করি, কাজের জন্য নয়। বলেন এখানে সভা করতে এলেই প্রতিবার ধমকানো-চমকানো হয়। এর আগে ২০১৪ সালে চন্ডীপুরে আমার উপর আক্রমণ চালানো হয়। জোকার চামচাকে দিয়ে আমাকে সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করানো হয়েছিল। তাকে আমি বলেছি, ‘‘তোর বাবাকে গিয়ে বল।’’

এরপরেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন কাঁথি অধিকারী গড় নয়। এটা তৃণমূলের গড়। আমি কারও গড়ে আসিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের গড়ে এসেছি। পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টার মধ্যে ৯টা বিধানসভা,পাঁচটা পৌরসভা,জেলা পরিষদ,পঞ্চায়েত সমিতি সব তৃনমূলের দখলে।তাহলে অধিকারীদের গড় কি করে ? এর পরেই শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাহস থাকলে ইস্তফা দিন। কাঁথি এবং তমলুকে উপনির্বাচন হোক। ক্ষমতা থাকলে উপনির্বাচনে জিতে আসুন। মেদিনীপুরের মানুষের উপর যদি ভরসা থাকে তাহলে উপনির্বাচনে জিতে আসুন।



কাঁথির এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি তাঁর বাবা ও ভাইকে কার্যত তুলোধোনা করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বললেন,আপনাদের যদি ন্যূনতম মূল্যবোধ থাকত, তাহলে বিজেপির মঞ্চে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্রগুলি তুলে দিয়ে আসতেন। তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসে বিজেপির সঙ্গে কানামাছি ভোঁ ভোঁ! এসব চলবে না। সাহস থাকলে ইস্তফা দিন।

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারবে অধিকারীরা ? শনিবারের পর সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন

Related News

Also Read