প্রদীপ কুমার সিংহ
এবার শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় রেলে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরা পরল।পরনে কালো প্যান্ট ও সাদা জামা। নিজেকে টিকিট পরীক্ষক পরিচয় দিয়েই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে রেল যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন বছর ৪৫ সের এক ব্যক্তি। জামার বুকে লাগানো ছিল একটি নেমপ্লেট। যেখানে লেখা ছিল চিফ টিকিট ইন্সপেক্টর (CIT) হাওড়া। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকদের বিষয়টি নজরে আসে। পরীক্ষকের জামার বুকে লাগানো নেমপ্লেট টি দেখেই তাদের সন্দেহ হয়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার টিকিট পরীক্ষক অথচ নেমপ্লেটে লেখা আছে হাওড়া। তারপরেই তারা মধ্যবয়স্ক ওই টিকিট পরীক্ষককে চেপে ধরতেই তিনি জানান, কোন এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এই কাজটি পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে। তারপরেই লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে থাকা অরিজিনাল রেলের ( সরকারি)টিকিট পরীক্ষকরা বারুইপুর আরপিএফ কে খবর দেয়। বারুইপুর থেকে আরপিএফ এর একটি টিম গিয়ে ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে নিয়ে আসে রবিবার সকালে।
ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের নাম সুপ্রতীক কুমার ব্যানার্জি। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তার আসল বাড়ি দিল্লিতে। সে কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ বারাসাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে রবিবার শিয়ালদহ আদালতে তুলবে বারুইপুর জিআরপি। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বারুইপুরের জিআরপি সূত্রে খবর। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক কার কাছ থেকে এই কাজ করার পারমিশন কে দিয়েছিল, এবং এর আগে সে কোথায় কোথায় এই কাজ করেছিল এবং এর পিছনে কোন চক্র আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে বারুইপুর জিআরপি। এই নিয়ে বারুইপুর ও লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে চাঞ্চল চড়ায়।