প্রদীপ কুমার সিংহ
ফ্যান তৈরীর কারখানায় কাজ করতো, তাও লক ডাউন চলাকালীন সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়।বহুদিন কাজ ছিল না। সংসারে আস্তে আস্তে দৈনদশা রূপ নেয়। আর্থিক সংকটে ভোগেন।সেখান থেকে নিজেদের ঠিক রাখতে না পেরে বৃদ্ধ দম্পতি বিষ খেয়ে আত্ম হত্যা করার চেষ্টা করে। এমনই ঘটনা ঘটে বারুইপুর স্টেশনে পাশে শনিবার রাতে।

অভাবের তাড়নায় এক সঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। বছর সত্তরের সন্ন্যাসী কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী পয়ষট্টি বছরের ঝর্না কর্মকার শনিবার রাতে বারুইপুর স্টেশন চত্বরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বারুইপুর জিআরপি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসায় সন্ন্যাসী কিছুটা সুস্থ হলেও তাঁর স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কা জনক। সন্ন্যাসী জানান, তাঁদের বাড়ি ডায়মন্ড হারবারে। পরিবারে আর কেউ নেই। একসময় ফ্যানের কারখানায় কাজ করতেন তিনি। কিন্তু লক ডাউনে সেই কাজটি চলে যায়। তারপর থেকে শুরু হয় চরম অর্থকষ্ট। টাকার অভাবে রোজ খাওয়া জুটত না বলে জানান তিনি। নানা ভাবে চেষ্টা করেও কোনও সুরাহা হয়নি।

এই পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার থেকে ট্রেনে বারুইপুর আসেন। প্রায় সারাদিন বারুইপুর স্টেশনের চার নম্বরে প্ল্যাটফর্মে কাটিয়ে দেন। রাতের নটা সাড়ে নটা নাগাদ স্টেশন থেকে বেরিয়ে ভারতীয়া রেলগেটের দিকে গিয়ে বিষ কিনে দুজনে খেয়ে ফেলেন। তারপর আবার চলে আসেন বারুইপুর প্ল্যাটফর্মে। সেখানে দুজনে অসুস্থ হয়ে পড়লে জিআরপি তে খবর দেন কয়েকজন। জিআরপি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।





