অশান্তির জেরে খুন হতে হলো যুবককে, অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানা এলাকার পালধূই পঞ্চায়েতের মান্দার গ্রামে শুক্রবার রাত্রে খুন হতে হলো ৪১ বছরের যুবক দীপক খাটুয়াকে। পরিবারের পক্ষ থেকে দীপক খাটুয়ার স্ত্রী মামনি খাটুয়া বলেন প্রত্যেকবারের মতো এবারও মদ্যপান অবস্থায় বাড়িতে এসেছিল দীপক। আসার পর বাড়ির পাশের কয়েকজন প্রতিবেশী আমার স্বামীকে মারধর করে এবং তার পেটের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর পেটের অসহ্য যন্ত্রণায় রাত্রিবেলায় মারা গেছে। আরো তিনি বলেন মদ্যপ অবস্থায় আসার জন্য এর আগেও প্রতিবেশীর তিন-চার জন মারার চেষ্টা করেছিল। এই বিষয়ে একটা মামলা হয়েছিল। সেই কারণে প্রতিবেশীদের ক্ষোভ ছিল। ওই ক্ষোভের কারণে শুক্রবার রাত্রে মেরে ফেলেছে বলে মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ। মৃত যুবকের এক ছেলে এক মেয়ে, রয়েছে। ছেলের বয়স ১৭ বছর মেয়ের বয়স আট বছর চারজনের সংসার, মা বাবা মারা গেছেন।মান্দার সংসদের প্রাক্তন সদস্য প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মামনি খাটুয়া জানান আমরা খবর পেয়ে এসে দেখলাম যুবকটি মারা গেছে। যুবকটির প্রায় মদ্যপান করে আসতো।, কালকেও মদ্যপান অবস্থায় এসেছিল ওটা প্রত্যেকদিনের ঘটনা। যারা ছেলেটিকে মেরেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া সঠিকটি বলা যাবে না। উপস্থিত হয়ে প্রতিবেশী পালধুই পঞ্চায়েত এর সদস্যা প্রতিনিধি আশুতোষ মাইতি জানান কালকে মদ্যপ অবস্থায় উনি বাড়ি ফিরেছিলেন, ঘটনা আজকের নয় বিগত কয়েক বছর ধরে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন। খিস্তা কেউ করছে। সেগুলো মেনে নেওয়া যায় না। কালকে রাত্রি দুটো নাগাদ বচসা হয়েছে হাতাহাতি হয়েছে, রাত দুটো নাগাদ বমি করেন আর মারা যান। এত সময় ধরে কেন ডাক্তার দেখানো হয়নি পরিবারের পক্ষ থেকে তাও একটি প্রশ্ন তুললেন। যদি পরিবারের কাছে কোন অন্যায় হয়ে থাকে আমরা তার পাশে আছি। পরিবারের পাশে থাকবো, অন্যায় যে করেছে তার শাস্তি হোক।পরিবারের অন্যান্যরাও অভিযোগ করেন যে যুবকটিকে প্রতিবেশীর কয়েকজন মিলে মেরে ফেলেছে। ঘটনাস্থলে রামনগর থানার পুলিশ এসে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটিকে রামনগর থানায় নিয়ে তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। রামনগর থানা সূত্রে জানা যায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গণপিটুনিতে খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল চারজন প্রতিবেশী কে। ধৃতরা হল মান্দার গ্রামের সঞ্জয় সাউ, ঝর্না সাউ, রুনু গিরি, সন্ধা গিরি ওরফে ঝাঁপড়ি। কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত আছে।





