একটি গাছ একটি প্রাণ। সারা পৃথিবী যেখানে বিশ্ব উস্নায়নের শিকার সেখানে অভিনব উদ্যোগ নিলো পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েত। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের পাশাপাশি সবুজায়নের লক্ষে চারা গাছ বিতরণ করা হলো।
নবম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির শেষ দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের পানিপারুলে দেখা গেল এবার রেকর্ড সংখ্যক ভিড়। ফলে উপকৃত উপভোক্তার সংখ্যাও বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকেই। তবে বেড়েছে এই শিবির থেকে প্রাপ্ত সুবিধার সংখ্যাও। এখন থেকে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনার আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদনের সুবিধাও থাকছে দুয়ারে সরকার শিবিরে। এদিন সকাল থেকেই পানিপারুল লঙ্কা মান্ডিতে শিবির পরিদর্শনের পাশাপাশি আমজনতাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করতে ময়দানে নামতে দেখা যায় খোদ পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা প্রধানকে। তিনি এদিন শিবিরে আসা প্রত্যেক মানুষের হাতে একটি করে চারা গাছ ও তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি সহ অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে চারাগাছ বিতরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিধায়ক তরুণ মাইতি। চারাগাছ বিতরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বনদপ্তর।
এছাড়াও নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই দুয়ারে সরকার শিবিরের বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
তবে শিবিরে উপলব্ধ প্রকল্পগুলি সম্বন্ধে আমজনতাকে সচেতন করতে প্রচারে নেমেছেন ব্লকের লোকপ্রসার শিল্পীদের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ও কন্যাশ্রী বাহিনী।
এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে মহিলাদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিবিরে।
পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা প্রধান বলেন, মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই মানুষের কাছে সর্বদাই গ্রহণযোগ্য। এবারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আগে বনদপ্তরকে আমরা চিঠি পাঠিয়েছিলাম সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ৫০০ চারাগাছ আমাদেরকে দিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে আমরা এই পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বহু গাছ লাগিয়েছি । সমাজ ও পরিবেশকে সুস্থ রাখতে হলে গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমি এলাকাবাসীকে আওহান করছি গাছ না কেটে আরো বেশি বেশি করে গাছ লাগান যাতে পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েত একটি দূষণমুক্ত পঞ্চায়েত তৈরী হয়।
