সারদা কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতেই কি শুভেন্দু অধিকারী দিল্লীতে ? রাজ্যজুড়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নারদা ও সারদা মামলায় গ্রেপ্তারের জোরালো দাবি তুলছে তৃণমূল। বিদায়ী রাজ্যপালকে দু’বার ডেপুটেশনও দিয়েছে বাংলার শাসকদল।তার উপর শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও সারদা মামলা জোরালো আকার নিয়েছে।এই অবস্থায় আচমকা শুভেন্দুর দিল্লী আগমনে জল্পনা বাড়ছে।
চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার কথা নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নিতে। তার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মধ্যে বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না অভিযোগ করেন, সারদার বহুতল অনুমোদন সংক্রান্ত ফাইল কাঁথি পুরসভা থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে।এর জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।কারন কাঁথি পৌরসভার বহুতল বিল্ডিং নির্মানের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা নেই ।তার পরেও শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী দিঘা-কাঁথি জাতীয় সড়কের ধারে ধর্মদাসবাড়ে এই ভুয়ো অর্থ লগ্নী সংস্থাকে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকার সময় ২২ তলা বিল্ডিং করার অনুমতি প্রদান করেন ।সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা তার থেকে ব্ল্যাকমেলিং করে নিতো সৌম্যেন্দু অধিকারীরা।আর তৃনমূলের অভিযোগ বে আইনী ভাবে এই বিল্ডিং নির্মান করার অনুমতি প্রদান করে সারদার মত ভুয়ো অর্থ লগ্নী সংস্থাকে সাধারন মানুষকে সহজে প্রতারনা করার সুযোগ করেদিয়েছিলো শুভেন্দু অধিকারী-সৌম্যেন্দু অধিকারীরা।
এরমধ্যে রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সারদা-কাণ্ডে সুদীপ্ত সেনকে জেরা করলো কাঁথি থানার পুলিশ।আর সেই জেরায় শুধু শুভেন্দু-সৌম্যেন্দু নয়,তাদের কয়েকজন ঘনিষ্টের নামও উঠে এসেছে বলে সুত্রের দাবি।যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন রাজনৈতিক চক্রান্তের জেরে পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবু যে ভাবে রাজ্য পুলিশ জাল গোটাছে তাতে অধিকারীদেত সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন আইনজীবিরা।
এই অবস্থায় তাই আচমকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী যাওয়ার ২৪ ঘন্টা আগে শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লী উড়ে যাওয়া এবং সেখানে দেশের সরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সাথে একান্ত বৈঠককে ঘিরে তাই নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে।যদিও তাঁর দিল্লী সফর নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজী হননি শুভেন্দু অধিকারী