জমি রক্ষার আন্দোলনের সময়ে সিপিএমের হার্মাদরা হামলা চালিয়েছে,নারীদের উপরে পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে, তখন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে বসে থেকেছে শুভেন্দু অধিকারী। আর সব মিটে গেলে নন্দীগ্রামে এসে মৃতদেহে মালা দিয়ে নেতা থেকেছে।শুক্রবার নন্দীগ্রাম শহীদ দিবসে এই ভাষাতেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমন করেছেন তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ।
নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক জমি ফিরে পাওয়ার আশায় ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘সূর্যোদয়’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের তত্কালীন শাসক দল সিপিএম । সে দিনের রক্তাক্ত অভিযানে প্রাণ গিয়েছিল জমি আন্দোলনের একঝাঁক নেতা-কর্মীর। তার পর থেকে প্রতিবছর তৃনমূলের উদ্যোগে জমি রক্ষা কমিটির ব্যানারে ১০ নভেম্বর শহিদ দিবস পালন করে নন্দীগ্রামবাসী। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে অবশ্য এই শহিদ দিবস অন্য মাত্রা পেয়েছে। গত দুবছর শহিদ দিবস পালন নিয়েও তৃণমূল-বিজেপির ঠান্ডা লড়াই দেখা গিয়েছে।
এদিন সকালে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ২৪-এ কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠিত হলেই বাংলার চোরেরা একে একে গ্রেপ্তার হবে। কিছুক্ষণ পরে ওই একই মঞ্চ থেকে পালটা শুভেন্দুকেই গ্রেপ্তারির হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এর পাশাপাশি শুভেন্দ অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপত্য স্নেহের সুযোগ নিয়ে বেইমানি করেছে শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, ২০২৪-এ কেন্দ্রে বিকল্প সরকার গঠিত হলে শুভেন্দু নিজেই গ্রেপ্তার হবে। যে ইডি-সিবিআইয়ের বলে বলিয়ান হয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন, সেই ইডি-সিবিআই-ই গ্রেপ্তার করবে শুভেন্দুকে।